গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রেমাল আছড়ে পড়েছে দুই বাংলার উপকূলে। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া চলেছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই সময়ের মধ্যে কোথায় কত কিলোমিটার বেগে হাওয়া বয়েছে, তার তালিকা প্রকাশ করেছে আলিপুর। দেখা যাচ্ছে, ঝড়ের গতিতে শীর্ষে রয়েছে দমদম।
হাওয়া অফিস সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে, ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দমদমে ঝড়ের গতি ছিল সবচেয়ে বেশি। সেখানে ঘণ্টায় ৯১ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশে ঝড়ের গতি ছিল ১০০-র বেশি।
তালিকা অনুযায়ী, রবিবার রাতে ক্যানিংয়ে ৭৮ কিলোমিটার, বারুইপুরে ৬৭ কিলোমিটার, নিমপিঠে ৬৩ কিলোমিটার, ডায়মন্ড হারবারে ৬৯ কিলোমিটার, কলকাতায় ৭৪ কিলোমিটার, সাগর দ্বীপ এবং রায়দিঘিতে ৬৩ কিলোমিটার বেগে ঝড় হয়েছে। বাংলাদেশের পটুয়াখালিতে রাতে ঝড়ের গতি ছিল ১০২ কিলোমিটার। এ ছাড়া খেপুপাড়ায় ৮৯ কিলোমিটার এবং মোংলায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বয়েছে। উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগর থেকে ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে রেমাল বাংলাদেশের মোংলার কাছের অংশ দিয়ে ডাঙায় প্রবেশ করেছে।
আলিপুর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে বলা হয়েছে, রবিবার ভোর থেকে বাংলাদেশের স্থলভাগে অবস্থান করছে রেমাল। সকাল পর্যন্ত তা ‘প্রবল’ আকারেই ছিল। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ ক্যানিং থেকে তার দূরত্ব ছিল ৬৫ কিমি পূর্বে। ৮টার পরে শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে রেমাল। ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে সরছে। এর প্রভাবে রবিবার রাতে ১৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। এ ছাড়া, দমদমে ৮৫ মিলিমিটার, সল্টলেকে ৯৭ মিলিমিটার, হলদিয়ায় ১১৯ মিলিমিটার, দিঘায় ৬৯ মিলিমিটার, ডায়মন্ড হারবারে ৯৪ মিলিমিটার এবং ক্যানিংয়ে ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকালেই বৃষ্টি চলছে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। কোথাও কোথাও ঝড়ের গতি রাতের চেয়েও বেশি বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy