Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Soumen Mohapatra

ঝড়বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস চলবে বুধবার, দিঘা-সুন্দরবনের বাঁধ নিয়ে চিন্তায় মন্ত্রী

এক দিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। অন্য দিকে, পূর্ণিমার ভরা কোটালের কারণে জলোচ্ছ্বাস। দু’য়ে মিলে বিস্তর ক্ষতি হতে পারে বাঁধের।

ঝড়ের সময় দিঘায় থেকেই পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখবেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।

ঝড়ের সময় দিঘায় থেকেই পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখবেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২১ ১৭:১০
Share: Save:

একে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে রক্ষে নেই, সঙ্গে ভরা কোটাল! ঝড়বৃষ্টি-সহ জলোচ্ছ্বাস হতে দিতে পারে দিঘা এবং সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায়। ওই উপকূলবর্তী এলাকা জুড়ে রয়েছে বাঁধ। এক দিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। অন্য দিকে, পূর্ণিমার ভরা কোটালের কারণে জলোচ্ছ্বাস। দু’য়ে মিলে বিস্তর ক্ষতি হতে পারে বাঁধের। এমন আশঙ্কার কারণে চিন্তা বেড়েছে সেচ দফতরের। তাই ঝড়ের সময় দিঘায় থেকেই পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখবেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।

সেচ দফতর সূত্রে খবর, ভরা কোটালের কারণে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে বুধবার দুপুর ১টা— এই সময়ের উপরেই বেশি নজর রাখবে সেচ দফতর। কারণ ইয়াসের সঙ্গে কোটালের কারণে এই সময়েই হতে পারে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যদি ৩ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়, তা হলে ভরা কোটালের কারণে সেই ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে যেতে পারে আরও ১ মিটার। তাই মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর— এই ১৬ ঘণ্টা সময়ই কঠিনতর বলছে সেচ দফতর।

সেচমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘দিঘা থেকেই ইয়াস পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে বলে আমরা মনে করছি। তাই স্বাভাবিক ভাবে বাঁধ রক্ষার ক্ষেত্রে আমরা বাঁধের উচ্চতা বাড়ানোর কাজ করেছি গত কয়েক দিন ধরে। আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে জলোচ্ছ্বাসে বাঁধের বড় ধরনের ক্ষতি হবে না বলেই আমরা মনে করছি। দিঘা বা সুন্দরবনের বাঁধে কোনও ধরনের ক্ষতি হলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারব। কিন্তু সবার আগে এই ভরা কোটাল থেকে সামগ্রিক ভাবে রক্ষা পেতে হবে।’’

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের আইলা ঘূর্ণিঝড়ের সময় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় থাকা সুন্দরবনের বাঁধের বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ২০১৯ সালের মে মাসে ফণি ঘুর্ণিঝড় দিঘা ও তদসংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকায় থাবা বসালেও, সুন্দরবনে কোনও প্রভাব পড়েনি। আবার আমপান ঘূর্ণিঝড়ে বাঁধের সঙ্গে সুন্দরবনের জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। তাই ঘূর্ণিঝ়ড় ও ভরা কোটালের জোড়া প্রকৃতির রোষ সামাল দিতে প্রতিনিয়ত রাজ্য সরকারের অন্য দফতরগুলির সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে চলেছে সেচ দফতর।

অন্য বিষয়গুলি:

rainfall digha storm Soumen Mohapatra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy