বর্ধমান শহরের তেলমারুই রোডের এই ফ্লেক্স ঘিরেই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।
শাসক দলের তরফে ‘বিধবাভাতা’ প্রকল্পের প্রচারের ফ্লেক্সে অভিনেত্রী নীনা গুপ্তর ছবি ব্যবহার করা নিয়ে শোরগোল হল পূর্ব বর্ধমানে। বর্ধমান শহরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি জায়গায় ‘এ বার বিধবাভাতা’ লেখা ওই ফ্লেক্স দেখা গিয়েছে। শনিবার বিষয়টিকে ‘বিতর্কিত’ বলে মন্তব্য করেন ওই ওয়ার্ডে সদ্য জেতা মহিলা তৃণমূল প্রার্থী উমা সাঁই। কটাক্ষ করেছে বিরোধীরাও। বিতর্ক বেড়েছে ফ্লেক্সের প্রচারের দায়িত্বে নাম থাকা এলাকার তৃণমূল নেতা অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যে। তিনি বলেছেন, ‘‘রাজনৈতিক ভাবে আমাকে কালিমালিপ্ত করার মতলবে কেউ চক্রান্ত করছে।’’ তবে কে বা কারা, কেন ‘চক্রান্ত’ করেছে, ভাঙেননি তিনি।
আগে ৪০ থেকে ৫৯ বছরের বিধবারা সরকারি ভাতা পেতেন। নতুন নিয়মে ১৮ থেকে ৫৯ বছরের বিধবারা ভাতা পেতে পারেন। ফ্লেক্সে নীনা গুপ্তর যে ছবিটি ব্যবহৃত হয়েছে, তা তাঁর সাম্প্রতিক ছবি ‘দ্য লাস্ট কালার’ থেকে নেওয়া বলে অনেকের অনুমান। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে পুরভোটে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী উমার ক্ষোভ, ‘‘দলের প্রচারে অভিনেত্রীর ছবি কেন? যা হয়েছে, সেটা বিতর্কিত। উচিত হয়নি।’’ যদিও ফ্লেক্সের ‘প্রচারের’ দায়িত্বে থাকা অর্পণের বক্তব্য, ‘‘জনহিতকর কাজের প্রচারে কার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে জানা নেই। চক্রান্ত হয়েছে।’’ উমার দাবি, ‘‘বিতর্ক দেখে চক্রান্তের কথা বলা হচ্ছে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘অনুমতি ছাড়া, অভিনেত্রীর ছবি ব্যবহার করা হয়ে থাকলে, অনৈতিক হয়েছে।’’ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূল সরকার বিজ্ঞাপনসর্বস্ব। অথচ, কে, কী বিজ্ঞাপন করছে তারা তা জানে না।’’
বহু চেষ্টা করেও নীনা গুপ্তর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, ‘‘যত দূর জানি, ওই অভিনেত্রী বাস্তবে বিধবা নন। আমাদের সরকার বাস্তবের বিধবাদের পাশে দাঁড়ায়। কী হয়েছে, খোঁজ নিতে হবে। তবে বিজেপির মুখে এ সব কথা শোভা পায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy