Advertisement
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

COVID Vaccine: টিকাকরণে গতি চাই, এ বার বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিষেধক দেওয়ার পরিকল্পনা রাজ্যের

গত ১৬ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’টি ডোজ় মিলিয়ে প্রায় ৭.৪ কোটি মানুষ টিকা পেয়েছেন।

টিকা প্রদানে আরও গতি আনতে চাইছে রাজ্য।

টিকা প্রদানে আরও গতি আনতে চাইছে রাজ্য। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৪৬
Share: Save:

করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে জন গোষ্ঠীতে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করতে হলে, সকলেরই টিকা নেওয়া জরুরি। বারবার করে এমনই কথা জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু, তার পরেও এখনও অনেকেই টিকার প্রথম ডোজ়ও নেননি। এ বার বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাঁদেরই খুঁজে বের করবেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজ় বকেয়া রয়েছে এবং শয্যাশায়ী ব্যক্তি, যাঁদের টিকা হয়নি, তাঁদেরও চিহ্নিত করে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত ১৬ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’টি ডোজ় মিলিয়ে প্রায় ৭.৪ কোটি মানুষ টিকা পেয়েছেন। কিন্তু টিকা প্রদানে আরও গতি আনতে চাইছে রাজ্য। সে জন্য বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বাস্তব চিত্র জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “স্বাস্থ্য কর্মী, আশা কর্মীদের সঙ্গে প্রতিটি পরিবারের নিবিড় যোগাযোগ থাকে। তাই তাঁদের এই কাজে যুক্ত করা হচ্ছে।” সম্প্রতি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্যের শীর্ষ কর্তা ও সচিব সৌমিত্র মোহন একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে সমস্ত জেলা শাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের জানানো হয়েছে, প্রতিটি জায়গায় বাড়ি-বাড়ি যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য, আশা কর্মীদের নিয়ে দল গঠন করতে হবে। তাঁরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেবেন। যদি দেখা যায় কেউ টিকা নিতে নারাজ, তা হলে তাঁকে সচেতন করার জন্য বোঝাতে হবে। একই রকম ভাবে দ্বিতীয় ডোজ়ের বকেয়াদেরও টিকা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

অনেক বাড়িতেই বয়স্ক লোকজন রয়েছেন। তাঁদের হাঁটাচলার ক্ষমতা নেই। সে ক্ষেত্রে ওই মানুষদের যাতে বাড়িতেই টিকা দেওয়া যায় সে বিষয়েও বন্দোবস্ত করবেন ওই কর্মী। কলকাতাতে অনেক আগেই অবশ্য বাড়িতে গিয়ে বয়স্ক, শয্যাশায়ীদের টিকা দেওয়া চালু হয়েছে। এক চিকিৎসকের কথায়, “টিকার দু’টি ডোজ় নিলে করোনা থেকে বাঁচা যাবে, তা কখনই যেন কেউ না ভাবেন। বারবার করে এই বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। কিন্তু ভাইরাসের বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি তৈরিতে সমাজে সকলের টিকা নেওয়া প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে টিকার দু’টি ডোজ় নেওয়া থাকলে করোনা আক্রান্ত হলেও সেই ব্যক্তির সঙ্কটজনক হওয়ার সম্ভবনা কম।”

অতিমারির চোখ রাঙানি এখনও বন্ধ হয়নি বলেই বারবার করে সতর্ক করছেন চিকিৎসকেরা। সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনাতে এ দিনও আক্রান্ত ১০০-র উপরে রয়েছে। কলকাতায় ১৪৯ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ১৩৮ জন আক্রান্ত। চিকিৎসকদের একাংশের কথায়, “কয়েকদিন কালী পুজো ও দীপাবলির কারণে অনেকেই পরীক্ষা করাননি। তার ফলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কম দেখা যাচ্ছে। তাই এটা দেখে করোনা কমে গিয়েছে, ভাবার কোনও কারণ নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal COVID Vaccine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE