ফাইল চিত্র।
নজরে পূর্ব মেদিনীপুর। নজরে সমবায় ব্যাঙ্কে দুর্নীতির অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ওই জেলার তিনটি ব্যাঙ্কের আর্থিক গতিবিধি সম্পর্কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। কারণ, কাঁথি, তমলুক এবং মেদিনীপুরের সমবায় ব্যাঙ্কে বহু ভুয়ো অ্যাকাউন্টের অস্তিত্ব নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এই তদন্তের কোনও না-কোনও যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকেরা। কারণ, তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দু সমবায় ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর তদন্ত-নির্দেশ নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে সব জেলার সমবায় ব্যাঙ্কে তদন্ত করার দাবি তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কাঁথি, তমলুক এবং মেদিনীপুরের সমবায় ব্যাঙ্কে অন্তর্বর্তী তদন্তের কাজ শুরু করেছে অর্থ দফতর। প্রশাসনের অন্দরের খবর, সমবায় দফতরের অধীনে রয়েছে ‘প্রিভেনশন অব ফ্রড সেভ’ বিভাগ। ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসার, চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং অন্য অফিসারদের নিয়ে তৈরি দলকেও সম্প্রতি আরও সক্রিয় করে তোলা হয়েছে। এই দল রাজ্যের প্রায় সব সমবায় ব্যাঙ্কের ব্যাপারে তত্ত্বতল্লাশ করবে বলে খবর।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “যেখানে সরকার অভিযোগ পাবে, সেখানেই তদন্ত হবে। অর্থ দফতরকে দিয়ে অন্তর্বর্তী তদন্ত আমরা করাতেই পারি। দুর্নীতির অভিযোগ পেলে তদন্ত করতে আমরা বাধ্য। সেখানে দেখতে হবে, বেনামি অ্যাকাউন্ট কত আছে। দেখব না, ভূতের নামে কত অ্যাকাউন্ট আছে! ভূতদের তো বার করতে হবে। সেই অ্যাকাউন্টটা সরকারের কাছে আসবে। সেই জন্য ভূতেদের মুখে রাম নাম চলছে, হরিনাম চলছে, সব কিছু কেস করে বন্ধ করে দাও।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই অনুসন্ধানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। এ দিন সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, “কাঁথির ব্যাঙ্কে চুরির বিরুদ্ধে ইন্টার্নাল অডিট হচ্ছে। আরও দু-তিনটি ব্যাঙ্কে হচ্ছে। রিট পিটিশন করে বসে আছে, যাতে অডিট না-হয়। কেন এত ভয়? পর্দার পিছনে কী আছে? আটকে দেওয়া, যাতে তদন্ত না-হয়! কলকাতা হাই কোর্টকে আমি সম্মান করি। সেই সম্মানটা যেন অক্ষুণ্ণ থাকে। অনেক বেনামি অ্যাকাউন্ট আছে। সরকারকে দেখতে হবে না, কার কত টাকা বেনামে আছে!”
এর পাল্টা হিসেবে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘কেউ কেউ মুখ্যমন্ত্রীর পার্টি ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে তাঁকে নিশানা করার জন্য এক একটা ব্যাঙ্কে তদন্ত করা হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করা হচ্ছে। সেচমন্ত্রী বিজেপিতে চলে এসেছেন, তাই সেচ বিভাগেরও তদন্ত হবে। তা হলে টেট-এসএসসি নিয়ে কেন তদন্ত হল না?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy