সোমবার থেকে জেলায় জেলায় ছুটবেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। প্রতীকী ছবি।
একের পর এক তারিখ পেরিয়ে গেলেও বুথের হাল ফেরেনি। শেষ পর্যন্ত বুথ কমিটি গড়ার দায়িত্ব নিয়ে আজ, সোমবার থেকে জেলায় জেলায় ছুটবেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। লক্ষ্য প্রতি বুথে ৫১% ভোট পাওয়া। সেই মর্মে রাজ্য বিজেপির সার্কুলার পৌঁছেছে ৪২টি সাংগঠনিক জেলায়।
দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। কিন্তু জেলা থেকে যে রিপোর্ট রাজ্য দফতরে পৌঁছেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মেরেকেটে ১০% বুথে এখনও পর্যন্ত বুথ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়েছে। অবস্থা বেগতিক বুঝে ১২-২৫ মার্চ শীর্ষ নেতারা ঘুরবেন জেলায় জেলায়। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, জয়ী বিধায়করা নিজেদের বিধানসভা এলাকার দায়িত্ব নেবেন। সাংসদরা নিজেদের সংসদ এলাকার সবকটি বিধানসভার দায়িত্ব নেবেন। বাকি বিধানসভার দায়িত্বে থাকবেন রাজ্যের বাকি পদাধিকারীরা।
মূলত পুরোনো বুথ সভাপতিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের হাতেই পুনরায় দায়িত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে বলে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায় ইঙ্গিত মিলেছে। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নন্দীগ্রাম বিধানসভার দায়িত্বে থাকতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বালুরঘাট লোকসভার বিধানসভা কেন্দ্রগুলির দায়িত্ব পড়তে চলেছে সুকান্তের উপর। সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ সম্ভবত মেদিনীপুর লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভাগুলির, দেবশ্রী চৌধুরী রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভাগুলি এবং রাজু বিস্তা দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভাগুলির দায়িত্ব নিতে পারেন। বিজেপি সূত্রের খবর, শান্তিপুর, বোলপুর, হাবড়া ও চুঁচুড়া বিধানসভার দায়িত্ব যেতে চলেছে যথাক্রমে জগন্নাথ সরকার, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল সিংহ ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপর। মাদারিহাটের দায়িত্ব যেতে পরে বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গার কাঁধে। বান্দোয়ান ও মানবাজার বিধানসভা কেন্দ্র দু’টির দায়িত্ব পড়তে পারে জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোর উপর। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সুমন কাঞ্জিলালের আলিপুরদুয়ার আসনের দায়িত্বে থাকতে পারেন দীপক বর্মন। আসানসোলের দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র অগ্নিমিত্রা পালের দায়িত্বে থাকতে পারে। সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকতে পারেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভার দায়িত্ব সম্ভবত যেতে চলেছে শমীক ভট্টাচার্যের কাঁধে। ইতিমধ্যে উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার বৈঠক হয়ে গিয়েছে। দৈনন্দিন কর্মসূচি নেওয়ার ক্ষেত্রে এই জেলার ভূমিকার প্রশংসা করেন রাজ্য নেতারা।
কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব দায়িত্ব নিলেই কি রাতারাতি বুথ কমিটি তৈরি হবে? বুথ প্রতি ৫১% ভোট পাওয়া কি সম্ভব? সুকান্তের কথায়, “আমরা একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এই লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছি। একটা সময় গুজরাতে ১০% ভোট পেতাম। এখন ৫১% ভোট পাই। রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু হয় না।” তবে দিলীপ এই ব্যাখ্যায় যেতে নারাজ। তাঁর দাবি, “সবাই মিলে বুথে যাচ্ছি খোঁজ খবর নিতে। কোথায় বুথ কমিটি তৈরি হয়েছে, কোথায় হয়নি, কেন হয়নি, বুথের কটা বৈঠক হয়েছে সেই সব তথ্য নেব। আর বেশি কিছু নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy