রবিবার অস্ত্রোপচারের পর বাচ্চাটির শ্বাসনালী থেকে এই পেরেকটিকে বার করেছেন এসএসকেএমের চিকিৎসকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
খেলতে খেলতে আস্ত পেরেক গিলে ফেলেছিল বছর দুয়েকের ছেলেটি। তার পর থেকে শ্বাসকষ্ট, বমি হওয়ায় ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন মা। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেও সুরাহা না মেলায় বাচ্চাটিকে কলকাতার এসএসকেএমে রেফার করা হয়েছিল। রবিবার সকালে ঘণ্টা দুয়েক ধরে অস্ত্রোপচারের পর বাচ্চাটির শ্বাসনালী থেকে পেরেকটিকে বার করেছেন এসএসকেএমের চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুস্তাকিম আলি নামে ওই বাচ্চাটির বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের হাতগাছি এলাকায়। তার শ্বাসনালীর ডান দিকের দেওয়ালে একটি ৬-৭ সেন্টিমিটার লম্বা পেরেক গেঁথেছিল। রবিবার সকালে অস্ত্রোপচারের পর সে সুস্থ রয়েছে। এই মুহূর্তে পেডিয়াট্রিক আইসিইউ-তে রয়েছে বাচ্চাটি।
মুস্তাকিমের পরিবার জানিয়েছে, শনিবার পেরেক গিলে ফেলার পর থেকেই বমি ও শ্বাসকষ্ট হতে থাকে বাচ্চাটির। এর পর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে এসএসকেএমে রেফার করা হয়েছিল।
এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রবিবার সকাল ৭টা থেকে রিজিড ব্রঙ্কোস্কপি পদ্ধতিতে মুস্তাকিমের অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছিল। নাক, কান, গলার চিকিৎসা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ সেনগুপ্তের তত্ত্বাবধানে ৪ সদস্যের চিকিৎসক দল এই অস্ত্রোপচার করে। তাতে ছিলেন সন্দীপ্তা মিত্র, মৃদুল জুনেজা, কামরান আহমেদ এবং স্পন্দিতা ঘোষ-সহ ৩ জন অ্যানাস্থেটটিস্ট। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পেরেকটি মুস্তাকিমের শ্বাসনালীতে গেঁথে থাকার কারণেই তার বমি ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। অস্ত্রোপচার না করা হলে তার খোঁচায় শ্বাসনালী ফুটো পর্যন্ত হয়ে যেতে পারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy