উচ্চ প্রাথমিকের শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে হাই কোর্টে হলফনামা দিতে চলেছে এসএসসি। ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-কে। সেই নির্দেশের পরেও মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন। তবে কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের দাবি, সব জট কাটতে চলেছে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চর্চা এবং জল্পনাকল্পনার আবহে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্যই এতটা সময় লাগল বলে জানিয়েছেন তিনি। সব কিছু ঠিক ভাবে চললে চলতি সপ্তাহেই হাই কোর্টে হলফনামা পেশ করতে চলেছে কমিশন। হলফনামায় মেধাতালিকা থেকে বিলম্বের কারণ, সব কিছুরই উল্লেখ থাকবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান।
উচ্চ প্রাথমিক দ্রুত নিয়োগের দাবিতে বুধবারই এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তাঁদের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিতে গেলে ধুন্ধুমারকাণ্ড বেধে যায় সল্টলেকে। এই প্রসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “চাকরিপ্রার্থীরা অধৈর্য হচ্ছেন। তাঁদের অধৈর্য হওয়া অসঙ্গত নয়। তবে এ বার তাঁদের অপেক্ষার শেষ হবে।” তবে একইসঙ্গে তিনি বলেন, যা আবেদন করা হয়, বাস্তবে সেটাই যে পাওয়া যাবে তা-ও কিন্তু নয়।
নিজেদের বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘‘১৫ নভেম্বরের মধ্যে আমাদের আদালতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৪ নভেম্বর সমস্ত ইন্টারভিউ শেষ হয়। সব মিলিয়ে ১৪৫২ জনের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়।” আদালতের নির্দেশমতোই সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর খতিয়ে দেখার কারণে সময় বেশি লেগেছে বলে দাবি করেন কমিশনের চেয়ারম্যান। আদালত হলফনামার পাশাপাশি মেধাতালিকা দেখতে চাইলে, তা-ও দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে কোনও নিয়োগ হয়নি। ২০২০ সালে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা বাতিল হয়। ২০২১ সালে অভিযোগ প্রক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার পর কিছু ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, গত ৯ বছরে উচ্চ প্রাথমিকে কোনও নিয়োগ হয়নি। এসএসসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, হাই কোর্টের পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছেন তাঁরা। উচ্চ প্রাথমিকে মোট ১৪৩৩৯টি শূন্যপদ পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছেও প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy