প্রসন্ন কুমার রায়। ফাইল চিত্র।
শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’-কাণ্ডে সিবিআই-এর আতশকাচের তলায় ‘বস’-এর ভূমিকা। প্রসন্নের নির্দেশেই সব কাজ করেছেন প্রদীপ! জেরায় ‘দুর্নীতি’-কাণ্ডে ধৃত ‘মিডলম্যান’ প্রদীপ সিংহ সিবিআই-কে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর নেপথ্যে ‘বড় চক্র’ রয়েছে বলে ধারণা তদন্তকারী সংস্থার।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রসন্নকে সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সোমবার আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। বিরোধিতা করে সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন, ‘‘প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তিনি জানিয়েছেন, ‘বসের আদেশেই সব করেছি।’ এর পর প্রসন্নের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানে বেশ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে।’’ ‘বস’ বলতে ঠিক কাকে ইঙ্গিত করেছেন প্রদীপ, তা অবশ্য খোলসা করেনি তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনাচক্রে, প্রসন্নের গাড়িভাড়া দেওয়ার একটি সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থার দফতর রয়েছে সল্টলেক জিডি ব্লকে। সেখানেই কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন ‘মিডলম্যান’ প্রদীপ। তদন্তে নেমে এমন তথ্যই হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ফলে ‘বস’ বলতে প্রসন্নের দিকেই প্রদীপ আঙুল তুলছেন, না কি নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, ‘দুর্নীতি’-কাণ্ডে গত ২৪ অগস্ট গ্রেফতার করা হয়েছিল ‘মিডলম্যান’ প্রদীপকে। অভিযোগ, এসএসসির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের খুঁজে আনতেন তিনি। তার পর বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতেন। তাঁকে জেরা করে সল্টলেকের যে সংস্থায় তিনি কাজ করতেন, সেখানে পৌঁছন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই গত শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় প্রসন্নকে।
সিবিআই সূত্রে খবর, ২০০২ সাল থেকে গাড়ি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন প্রসন্ন। আগে উত্তর কলকাতায় এই সংস্থার দফতর ছিল। পরে সল্টলেকে সরিয়ে নিয়ে যান। প্রসন্নের সংস্থার এক কর্মী দাবি করেছেন, শিক্ষা দফতরেও গাড়ি ভাড়া দিতেন তিনি। এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিন্হার অফিসেও একাধিক বার গাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন। শান্তিপ্রসাদকেও গ্রেফতার করা হয়েছে এই মামলায়।
প্রসন্ন তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে সোমবার আদালতে দাবি করেছেন সিবিআই-এর আইনজীবী। যদিও প্রসন্নের তরফে দাবি করা হয়েছে, তিনি সহযোগিতা করছেন। তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে বলা হয়েছে, এটা ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’। প্রসন্নকে হেফাজতে নিয়ে আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে। সাত দিনের সিবিআই হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসন্নের আইনজীবী সুমিত চৌধুরী বলেছেন, ‘‘সাদা কাগজে আমাদের একটা নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তাতে কোনও সিল নেই। আমরা সহযোগিতা করছি। হেফাজতে থাকাকালীন কিছু নথিপত্রে সই করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy