—প্রতীকী ছবি।
স্কুলে ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় ‘অযোগ্য’দের তালিকা সুপ্রিম কোর্টে জমা দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। হলফনামা দিয়ে এসএসসি জানায়, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্ৰুপ-সি ও গ্ৰুপ-ডি— চারটি বিভাগে মিলিয়ে মোট ১২১২ জন নিয়ম বহির্ভূত ভাবে চাকরি পেয়েছেন। ওই হলফনামায় বলা হয়েছে, তাঁদের কারও নামই এসএসসি সুপারিশ করেনি। ওই ১২১২ জনের তথ্য তারা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে পেয়েছে।
শীর্ষ আদালতে এসএসসি জানায়, প্রাথমিক ভাবে তারা মনে করছে গ্ৰুপ-সি বিভাগে ৩৮১ জন বেআইনি ভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার মধ্যে মেধাতালিকায় যোগ্যদের বঞ্চিত করে চাকরি পেয়েছেন ১৩২ জন। এ ছাড়া ২৪৯ জন চাকরি পেয়েছেন প্যানেলের বাইরে থেকে। গ্ৰুপ-ডি কর্মী নিয়োগে অনিয়ম করে চাকরি পেয়েছেন ৬০৮ জন। এর প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন ৩৭১ জন। আর ২৩৭ জনকে মেধাতালিকায় এগিয়ে রেখে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
কর্মী নিয়োগের পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগেও অনিয়ম করা হয়েছে। নবম-দশম শ্রেণিতে বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন ১৮৫ জন। ১১১ জন প্যানেলের বাইরে এবং বাকি ৭৪ জনকে মেধাতালিকা ওলটপালট করে নিয়োগ করা হয়েছে। একই ভাবে বেআইনি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকদেরও। সেখানে ৩৮ জনের নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। তার মধ্যে ১৮ জন রয়েছেন প্যানেলের বাইরে। চারটি বিভাগের ওই ১২১২ জনের নাম, রোল নম্বর-সহ তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয় এসএসসি। যদিও ওই হলফনামায় এসএসসি ওএমআর শিট কারচুপি বা বিকৃতির বিষয়ে কিছু জানায়নি।
এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। এসএসসি এবং পর্ষদও ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে। গত শুনানিতে শীর্ষ আদালত সব পক্ষের কাছে লিখিত বক্তব্য জানাতে বলেছে। সেই মতো শনিবার পর্ষদ জানায়, এসএসসির সুপারিশের ভিত্তিতেই তারা নিয়োগপত্র দিয়েছে। তার বাইরে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তার আগে শুক্রবার হলফনামা দিয়ে জানায় এসএসসি। তাদের বক্তব্য, এসএসসির সুপারিশ ছাড়াও নিয়োগ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy