নবম-দশমের নিয়োগ মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ডিভিশন বেঞ্চে। ফাইল চিত্র।
এসএসসিকে দস্যু থেকে সাধু হওয়ার পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় এসএসসির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনি এখন বাল্মীকি। আবার রত্নাকরের রূপে ফেরত যাবেন না! ... বাল্মীকি যদি রত্নাকর হয় তা হলে মুশকিল!’’
নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় ৯৫২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রে কারচুপি করে বেআইনি ভাবে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলারই শুনানি চলছিল বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চে। বিচারপতি এর আগে এসএসসিকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এঁদের মধ্যে ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে বলেছিলেন। এসএসসি সেই নির্দেশ পালন করার প্রক্রিয়া শুরুও করেছিল। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা বিচারপতি বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান। তবে ডিভিশন বেঞ্চ মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। তাই বুধবার একক বেঞ্চেও এ সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি ছিল। সেখানেই এসএসসিকে আত্মশুদ্ধির পরামর্শ দেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, ‘‘বাল্মীকির মতো নিজেকে শুদ্ধ করুন।’’
বুধবার এসএসসির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘দস্যু রত্নাকর বাল্মীকি হয়েছিলেন, কিন্তু বাল্মীকি যদি রত্নাকর হয় তা হলে মুশকিল!’’ এসএসসিকে রত্নাকর রূপে না ফেরার ব্যাপারে সতর্ক করে বিচারপতি বলেন, ‘‘মনে রাখবেন, এসএসসি যে পরিজনদের ত্যাগ করেছেন, তাঁরা এখন জেলে।’’ তবে এসএসসির পাশাপাশি, অভিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়েও মন্তব্য করেন বিচারপতি। ৯৫২ জন শিক্ষকদের একাংশের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘‘এই দুর্নীতিতে আপনাদের কী ভূমিকা সেটা দেখুন।’’
নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হলেও এখনও রায় ঘোষণা হয়নি। বুধবার এই মামলার শুনানি আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেন বিচারপতি বসু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy