শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বার বার কটুবাক্য শুনতে হয়েছে কবি শ্রীজাতকে। নেটমাধ্যমে ‘কন্ডোম’ প্রসঙ্গ এখনও মাঝে মাঝে উঠে আসে মন্তব্য বাক্সে। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কবিকে। জনপ্রিয়তার মধ্যে থেকেও এত সমালোচনার ভার কি তাঁকে আক্রান্ত করে? আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক লাইভে এমনই এক প্রসঙ্গ এসেছিল। শ্রীজাত বলেন, ‘‘এক সময় আমাকে এই ভাবনা চিন্তায় ফেলত। কিন্তু সব কিছুরই একটা পাঠ থাকে। এটারও একটা পাঠ দরকার ছিল আমার, সেটা পেয়েছি। এখন আর এগুলো খুব একটা দরকারি মনে হয় না।’’
নেটমাধ্যমে তিনি নিয়মিত উপস্থিত থাকেন। উপস্থিত থাকতে থাকতে তিনি অনেকটাই বুঝে গিয়েছেন, কারা এই কদর্য আক্রমণ করেন, কখন করেন। শ্রীজাত বলেন, ‘‘আমি যখন রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে লিখি বা তারকভস্কির ছবি নিয়ে একটা বড় লেখা লিখি, তখন কিন্তু এঁদের দেখা পাওয়া যায় না। আমি যখন কোনও রাজনৈতিক ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিই, তখন তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়ে এটা করেন। তাতে আমি বুঝি যে, এঁরা পাঠক নন। এঁরা শুধু আমার পাঠক নন এমন নয়, এঁরা সাহিত্যেরই পাঠক নন। সাহিত্যের পাঠ মানুষকে এক ধরনের শালীনতার বোধ দেয়। এক ধরনের শিক্ষার আবহ দেয়। সেটা এঁদের নেই।’’
এ বিষয়ে উঠে আসে কন্ডোম প্রসঙ্গ। শ্রীজাত বলেন, ‘‘এর মধ্যে হয়েছে যে, এই তিন-চার বছরে আমি কন্ডোমের অনেক বানান দেখেছি। এটা আমার জানা ছিল না। যেমন ‘কে-এ-এন-ডি-ও-এম’! এমন অনেক উদাহরণ আছে। এক এক সময় লোভও হয়েছে, বানান শুধরে দিই। কিন্তু পরমুহূর্তে মনে হয়েছে, থাক, উনি ঠিক এক দিন না এক দিন বানানটা পেয়ে যাবেন।’’ জীবনের স্বল্প সময় তাই ট্রোলিংয়ের পিছনে নষ্ট করতে চান না শ্রীজাত। তার চেয়ে দেশ দেখা, গান শোনা, ভাল সাহিত্য পাঠ বা সৃষ্টিতে সময় কাটাতে চান তিনি।। ট্রোলিং নিয়ে ভাবার অবকাশ দিতে চান না নিজেকে। এমনটাই জানালেন কবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy