যাদবপুর-কাণ্ডে ‘ভিডিয়ো’-তরজা বেধেছিল এসএফআই ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) মধ্যে। গত ৩ মার্চ ছাত্র ধর্মঘটের দিন মেদিনীপুরে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগের সূত্রে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই বৃহস্পতিবার শাসক দলের উদ্দেশে ‘প্রতিআক্রমণ’ এবং ‘চালিয়ে খেলা’র হুঁশিয়ারি দিল! পাল্টা টিএমসিপি ‘চিন মিউজ়িক’ শোনানোর কথা বলেছে!
যাদবপুরের ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘটের দিন এসএফআই নেত্রী সুচরিতা দাস-সহ কয়েক জনকে মারধরের অভিযোগ ওঠে মেদিনীপুর মহিলা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। সুচরিতা-সহ ‘আক্রান্তদের’ পাশে বসিয়ে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, “এসএফআইয়ের আন্দোলনে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। এ বার প্রতিআক্রমণ হবে। ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে! ওঁরা খেলা হবে বললে, আমরাও বলছি, ক্যাম্পাসে চালিয়ে খেলা হবে!”
টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের পাল্টা, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনাতে বলেছেন, তাই শোনাচ্ছি। চিন মিউজ়িক কিংবা ডিজ়ে মিউজ়িক শোনাতে চাইলে ফল ভাল হবে না!” ‘যাদবপুর-দখলে’র হুঁশিয়ারি দিয়ে ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক, পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যা হয়েছে, তা সিপিএমের আমলে হলে যাঁরা এই কাজটা করেতেন, তাঁদের খালে পাওয়া যেত! আমাদের অনেক কর্মী উগ্র হতে পারেন, দু’মিনিট সময় লাগবে!” সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, “কে কী বলবে, সব কথার উত্তর দেওয়া অর্থহীন!”
সুচরিতা ধর্মঘটের দিনের কথা বলে অভিযোগ করেন, “গাড়িতে (পুলিশের) তোলার পর থেকেই অত্যাচার করেছে। বুট দিয়ে লাথি, থাপ্পড় মেরেছে।” যাদবপুর-কাণ্ডে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ‘অপরাধী’ আখ্যা দিয়ে তাঁর গ্রেফতারির দাবিতেও ফের সরব হয়েছে এসএফআই।
এবিভিপি পাল্টা ‘আঁতাঁতে’র অভিযোগে সরব। এবিভিপি নেতা শুভব্রত অধিকারী বলেন, “নির্বাচনের আগে সিপিএমকে প্রাসঙ্গিক করতে তৃণমূল পিছন থেকে ঠেলছে। এসএফআইয়ের সঙ্গে নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের যোগ আছে! গোয়েন্দা বিভাগের নজর রাখা উচিত।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)