উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষায় বেশ কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির হার কম বলে জানাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকদের একাংশ। যেমন নদীয়া জেলার জেলা পরিদর্শক সূত্রে জানা গেছে প্রথম দিনে ওই জেলায় ৬২৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। উত্তর চব্বিশ পরগনার দমদম সুভাষ নগর হাইস্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক সইদুল ইসলাম জানান, তাঁদের স্কুলে ১৬৮ জনের মধ্যে ১০৪ জন পরীক্ষা দিচ্ছেন। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একটি স্কুলে ১২ জন পরীক্ষার্থী আসেননি।
এ বারই শেষ বারের মতো প্রথাগত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে। পরের বার থেকে সিমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। এ বার যাঁরা পরীক্ষা দিলেন না, তাঁরা পরের বার পুরনো পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন, না কি সিমেস্টারে দিতে হবে, সে নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির হার কম থাকা স্বাভাবিক নয় বলে মনে করছেন শিক্ষকদের একাংশ। তবু কেন এ বছরও পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর উপস্থিতি কম? কন্যাশ্রী-সহ সরকারি নানা প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও কেন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে স্কুলছুট হয়ে যাচ্ছেন অনেকে? এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম দিনের পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির হার দেখে
প্রশ্ন তুলেছে কিছু শিক্ষক সংগঠন।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, ‘‘বিচ্ছিন্নভাবে কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিসংখ্যানে হয়তো পরীক্ষার্থী কমেছে। তবে আমাদের কাছে যা পরিসংখ্যান এসেছে তাতে এবারে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম দিনে উপস্থিতির হার অন্য বারের থেকে অনেক বেশি। অনেক পরীক্ষাকেন্দ্রেই পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ৯৯ শতাংশ।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)