Advertisement
E-Paper

সভাপতি ঘোষণা: ‘দেরি’ কি ‘ধীরে চলার’ নীতিতেই

রাজ্য বিজেপির ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ২৫টির, অর্থাৎ ৫০%-এর বেশি ক্ষেত্রে সভাপতির নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ফলে বিজেপির সাংগঠনিক নিয়মে নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণায় সমস্যা নেই।

— প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ ০৯:১০
Share
Save

সাংগঠনিক ভাবে বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণার ক্ষেত্রে বাধা নেই। দলের অন্দরে জল্পনা ছিল, মার্চেই সামনে আসতে পারে নতুন রাজ্য সভাপতির নাম। কিন্তু এখনও যা পরিস্থিতি তাতে সব ঠিক থাকলে এপ্রিলের গোড়ায় সভাপতির নাম ঘোষণা হতে পারে। এই ‘দেরি’ নিয়ে বিজেপির একটি অংশের ব্যাখ্যা, আগামী বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে সব দিক সামলে ‘ধীরে চলো’ নীতি মেনে অঙ্ক কষেই এগোতে চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমন প্রেক্ষিতে দলের অন্দরে পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হিসেবে দু’টি নাম নিয়েও বিস্তর চর্চা রয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যে দলের দিল্লির সমীকরণের উপরেই নির্ভর করছে, তা নিয়ে সবাই এক মত।

রাজ্য বিজেপির ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ২৫টির, অর্থাৎ ৫০%-এর বেশি ক্ষেত্রে সভাপতির নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ফলে বিজেপির সাংগঠনিক নিয়মে নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণায় সমস্যা নেই। কিন্তু এখন রাজ্য বিজেপির একাংশের মতে, নতুন সভাপতির জন্য এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। ওই অংশটির ব্যাখ্যা, আচমকা নতুন নাম সামনে এলে দলের ‘বিভিন্ন শিবিরে’র মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যা বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠনে প্রভাব ফেলতে পারে। এই বিষয়টি এড়াতেই ‘ধীরে চলো’ নীতি নিচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

সূত্রের দাবি, সুকান্তকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত পদে রেখে দেওয়া হতে পারে। সুকান্তের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে দাবি, এই বিষয়ে ‘আগ্রহী’ও বর্তমান সভাপতি। কিন্তু বিজেপির নীতি অনুযায়ী, সুকান্তকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকতে হলে সাংগঠনিক পদ ছাড়তে হবে। তবে ব্যতিক্রম যে কিছু ক্ষেত্রে ঘটে, তা-ও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন সুকান্ত-ঘনিষ্ঠদের একাংশ। এই ব্যতিক্রম যদি না-ঘটে, সে ক্ষেত্রে সুকান্তের ‘পছন্দে’র দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দু’বারের এক সাংসদের নাম নিয়ে জল্পনা আছে।

বিজেপির অন্দরে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নামও চর্চায় আছে বলে দাবি। এই সূত্রে দিলীপের আবার ‘পুরনো মেজাজে’ মাঠে নামার কথাও অনেকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। উঠে আসছে দিলীপের আমলেই দলের সব থেকে ভাল নির্বাচনী ফলাফল, কর্মীদের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতার কথাও। তবে উল্টো দিকের একটি মত, গত বিধানসভা ভোটের পরে দিলীপের বদলে সুকান্ত, এখন সুকান্তের বদলে ফের দিলীপ— এমনটা কার্যত দেখা যায় না। তবে সূত্রের দাবি, দিল্লির বার্তা, পরিস্থিতি যা-ই হোক, দিলীপকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডাকে দিলীপের বিধানসভায় যাওয়া, আবার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির যে মন্তব্যে ‘বিতর্ক’ বেধেছিল, তাকে শুভেন্দুর সমর্থন— এই সবই দিল্লির সেই বার্তার প্রতিফলন হতে পারে বলে জল্পনা।

তবে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের মতে, নতুন সভাপতির বিষয়ে নির্ণায়ক ভূমিকা থাকতে পারে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসলের। উত্তরপ্রদেশ থেকে ওড়িশায় সুনীলের সাংগঠনিক ‘সাফল্য’, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা, এই বিষয়গুলিও অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন। দিল্লিতে অবাধ যাতায়াত থাকা রাজ্য বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, “বিজেপি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েই সব কিছু করে। হয়তো সাময়িক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তা ফলদায়ক হয়। বাংলার ক্ষেত্রেও সেটাই হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

BJP BJP President

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}