গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
পরিবার-সহ অন্যান্যদের কাছে চিকিৎসা সংক্রান্ত খবর যাতে না যায় তার জন্য আইনজীবী মারফত এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে জানালেন হাসপাতাল শুধু এই খবর দিতে পারে তাঁর আইনজীবী ও বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন নারদ-কাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার পরে এখন এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের সুপারকে দু’টি চিঠি ইমেল মারফত পাঠিয়েছেন শোভনের আইনজীবী প্রতিমপ্রিয় দাশগুপ্ত। তার একটিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের পক্ষে শোভনের চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও তথ্য যেন প্রতিমপ্রিয় এবং বৈশাখী ছাড়া অন্য কাউকে না দেওয়া হয়। এই চিঠি প্রসঙ্গে প্রতিমপ্রিয় বলেন, ‘‘কারও কিছু জানার থাকলে সেটা আমার থেকে বা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেই জানতে হবে।’’ এটা কী শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও? প্রতিমপ্রিয় বলেন, ‘‘এটা সকলের জন্য।’’
দ্বিতীয় যে চিঠিটি শোভনের তরফে পাঠানো হয়েছে তাতে স্ত্রী রত্না ও ছেলে সপ্তর্ষীর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তুলেছেন। হাসপাতাল সুপারকে জানানো হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন বিধায়ক মদন মিত্রকে দেখতে আসার নাম করে দুই ব্যক্তি উডবার্ন ওয়ার্ডে শোভনের কেবিনে ঢোকার চেষ্টা করে। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ তাদের আটকায়। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে ওই দু’জনের নাম সঞ্জয় রাউত এবং অভিজিৎ মৈত্র ওরফে পিকলু। তাদের সঙ্গে আরও কয়েক জন দুষ্কৃতী ছিল বলেও অভিযোগ। চিঠিতে বলা হয়েছে বাধা পেয়ে পিকলু পুলিশের উপরে জোর খাটায়। একই সঙ্গে অভিযোগ করা হয়েছে, যে সঞ্জয় ও পিকলু শোভনের কেবিনে ঢোকার সব রকম চেষ্টা করেছিল তারা রত্নার নির্দেশে আসে। বিষয়টিতে সপ্তর্ষী হস্তক্ষেপ করেন এবং ওই দুই দুষ্কৃতীকে হাসপাতাল চত্বর থেকে বার করে দেন। এই অভিযোগ জানিয়ে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে শোভনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন আইনজীবী।
ওই চিঠির পর বুধবার ঠিক কী ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খোঁজ নেওয়া শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়াও আসেন এসএসকেএম হাসপাতালে। উডবার্ন ওয়ার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি।
গ্রেফতারের পরে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এই হাসপাতালে আসেন শোভন। মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই স্বামীর খোঁজ নিতে ছেলে সপ্তর্ষীকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রত্না। এর পর বুধবার আইনজীবী মারফত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি পাঠান শোভন। অনুরোধ জানান, যত ক্ষণ না শোভন নিজে অনুমতি দিচ্ছেন, তত ক্ষণ স্ত্রী রত্না-সহ তাঁর ছেলে সপ্তর্ষি এবং মেয়ে সুহানিকেও যেন তাঁর কাছে ঘেঁষতে না দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy