শোভন ও বৈশাখী। —ফাইল চিত্র।
নিজের সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখে দিয়েছেন তিনি। গোলপার্কের ফ্ল্যাট নিয়ে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে টানাপড়েনের মধ্যে এমনটাই ঘোষণা করলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
প্রায় চার বছর ধরে এক ছাদের নীচে ‘সংসার’ শোভন-বৈশাখীর। পোশাক-আসাক থেকে রাজনীতি, সব ক্ষেত্রেই একে অপরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেন তাঁরা। তবে নিজেদের সম্পর্ককে বারবরই ‘বন্ধুত্ব’ নাম দিয়েছেন তাঁরা বুধবার ভোররাতে আচমকাই ফেসবুকে নিজের নামের সঙ্গে শোভনকে জুড়ে নেন বৈশাখী। তার পরেই সকাল হতে খবর আসে, গোলপার্কের ফ্ল্যাট নিয়ে রত্নার পরিবারের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে শোভন-বৈশাখীর। রত্নার প্রয়াত দাদা দেবাশিস দাস আসলে ওই ফ্ল্যাটের মালিক। তাই শোভন-বৈশাখীকে ফ্ল্যাট খালি করতে বলেছে রত্নার পরিবার।
সেই নিয়ে যখন উত্তাল নেটমাধ্যম, সেই সময়ই সংবাদমাধ্যমে কার্যত বোমা ফাটান শোভন। জানিয়ে দেন, নিজের সবকিছু বৈশাখীর নামে করে দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর অবর্তমানে বৈশাখী ওই সমস্ত সম্পত্তি পাবেন এমন নয়, এখন থেকেই তাঁর সমস্ত কিছুর অধিকারিণী বৈশাখী বলে জানিয়ে দেন শোভন। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির শুধু পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নয়, সব কিছু লিখে দিয়েছি বৈশাখীকে। আমার অবর্তমানে নয়, এখন থেকেই সবকিছুর অধিকারিণী বৈশাখী।’’
আইনি পথে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এখনও বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি শোভনের। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে শোভন বলেন, ‘‘দুঃসময়ে আমার পাশে ছিল বৈশাখী। আমার সবকিছুই এখন ওঁর। এই সম্পর্ককে আমি মর্যাদা দিতে চাই।’’
বৈশাখীর খপ্পরে পড়ে শোভন সব হারিয়েছেন বলে একাধিক বার দাবি করেছেন রত্না। কিন্তু শোভনের অভিযোগ, রত্না তাঁকে পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘২২ বছর আগে রত্নাদেবীকে যখন বিয়ে করেছিলাম, প্রাপ্য সব অধিকারই তাঁকে দিয়েছিলাম। কিন্তু অধিকারের অপব্যবহার করেছেন তিনি।আমাকে পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন। আমার অজ্ঞাতে অনেক কিছু করেছেন। তাঁর জীবনযাত্রা, ব্যাভিচারিতার জন্যই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসি আমি। আমি কিন্তু সে রকম কিছুই করিনি। যা করেছি, আইনি পথেই করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy