বিজয়া দশমী, ২০২১। ছবি: ফেসবুক
বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিঁদুর পরাতে দেখা গিয়েছিল দুর্গাপুজোর দশমীর দিনে। সেই প্রসঙ্গ টেনে বুধবার শোভন জানালেন, দশমীর ঘটনা সিঁদুর নিয়ে ছেলেখেলা ছিল না। কী তার পরিণতি তাও খুব তাড়াতাড়ি তিনি জানিয়ে দেবেন এমন দাবিও করেছেন শোভন। ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, ‘‘দশমীর দিন দৃশ্যমান হয়েছিল সিঁদুর খেলা। তা আপনারা ছেলেখেলা ভাবতে পারেন। কিন্তু তার বাস্তবতার প্রমাণিত সত্য তুলে ধরার বিষয়ে আমি শপথ নিয়েছি।’’
এই প্রসঙ্গেই তিনি নিজেকে তিন সন্তানের জনক হিসেবে তুলে ধরেন। বলেন, ‘‘আমি শোভন চট্টোপাধ্যায় শপথ নিয়ে বলছি, দুই সন্তান নয়, আমার তিন সন্তান বর্তমান। সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়, সুহানি চট্টোপাধ্যায় এবং রিলিনা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
বুধবার বৈশাখীর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে লাইভে আসেন শোভন। ওই প্রোফাইল অবশ্য এখন বৈশাখী শোভন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে চিহ্নিত। সেখানে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন তিনি। বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না কলকাতা পুরভোটে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে তাঁর কোনও আপত্তি নেই জানিয়ে শোভন দাবি করেন, নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়ার জন্য রত্না তাঁর নামে কুৎসা করছেন। রত্নার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘রত্না চট্টোপাধ্যায় যে চক্রান্ত এবং যে নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন তা আগামী দিনে ফেসবুক লাইভ করেই সামনে আনব।’’
শোভন-রত্না বিবাদ নতুন কিছু না হলেও কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা প্রকাশের পর থেকেই তা নতুন মাত্রা নিয়েছে। প্রার্থী ঘোষণার পরে পরেই রত্নাকে বেহালার পর্ণশ্রীর বাড়ি ছাড়ার নোটিস পাঠান বৈশাখী।
২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বেহালার বাড়ি ছেড়ে গোলপার্কের এক বহুতলে এসে ওঠেন শোভন। সেখানেই থাকেন বৈশাখীও। সম্প্রতি জানা যায়, শোভন আর্থিক সমস্যায় পড়ে বেহালার বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। এক কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন বৈশাখী। সেই সূত্রে ১৩৯ ডি/৪ মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডের বাড়িটির মালিক তিনিই। তাই রত্নাকে বাড়ি খালি করতে চাপ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বৈশাখী। তবে পুরভোটের প্রচারে ব্যস্ত রত্না অবশ্য ওই নোটিসকে আমল দিতে চান না বলে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy