গত ফেব্রুয়ারিতে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনে তিনি রাজ্য কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। শুক্রবার সেই তরুণ নেতা যখন মাদুরাইয়ে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসে, তখন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে তাঁর কিছু ছবি। যা নিয়ে ‘অস্বস্তি এবং বিড়ম্বনা’ দুই-ই বেড়েছে আলিমুদ্দিনের নেতাদের। ওই নেতার কাণ্ডকারখানা নিয়ে সমাজমাধ্যমে ‘ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট’ করেছেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
বৃহস্পতিবার ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যা নিয়ে সরব সিপিএম-সহ বামেরা। ঘটনাচক্রে, যে সিপিএম নেতার ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তিনিও বিভিন্ন সময়ে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে সক্রিয় থেকেছেন। কলকাতায় ছাত্র-যুব আন্দোলন করেই তাঁর উত্থান। যদিও তিনি কলকাতার ভূমিপুত্র নন। সংশ্লিষ্ট নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কিছু বলব না।’’
তরুণজ্যোতি যে পোস্ট করেছেন, তাতে তিনি ওই সিপিএম নেতাকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন, ‘দলের সবাই সুশান্ত ঘোষ নাকি?’ পরে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘যে কয়েকজনকে ভদ্রলোক বলে জানতাম, তাঁর মধ্যে উনিও ছিলেন। কিন্তু এখন দেখছি তা নয়। যদি এই সব ছবি মিথ্যা হয়ে থাকে, তা হলে ওঁর উচিত আইনি সাহায্য নেওয়া।’’ পুরো ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে এটা নজর ঘোরানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। বিজেপি-ও সেই কাজে নেমেছে। তবে দলে কোনও অভিযোগ এলে দল নিশ্চয়ই দেখবে।’’
সম্প্রতি মহিলাঘটিত অভিযোগের কারণে প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষকে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল সিপিএম। সুশান্তকে বাদ দেওয়া হয়েছে রাজ্য কমিটি থেকেও। মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থার ঘটনায় ছ’মাসের জন্য নিলম্বিত (সাসপেন্ডেড) হয়েছেন উত্তর দমদমের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। সেই ক্ষতে প্রলেপ না পড়তেই একই ধাঁচের নতুন বিড়ম্বনায় সিপিএম। দলের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এক তরুণী দলের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নেতার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের প্রতিলিপি গিয়েছে কলকাতার জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার এবং বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর কাছেও। যদিও তার আনুষ্ঠানিক সমর্থন মেলেনি। ওই তরুণী প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। সমাজমাধ্যমেও কিছু লেখেননি।