Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪
Soham Chakraborty

উইপোকারা বেরিয়ে গেলেই ভাল হয়, সোহমের কটাক্ষ কি সেই শুভেন্দুকেই

শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার দিন মেদিনীপুরে জানিয়েছেন, অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের শুরু ২০১৪ সালে। হিসেবে সেটা ৬ বছর। 

ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:০৩
Share: Save:

তৃণমূলে উইপোকা রয়েছে। সেই পোকা বেরিয়ে গেলে ভাল হয়। বুধবার মালদহের ইংরেজবাজারে এক পথসভায় এমন মন্তব্য করলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। গত ৬ বছর ধরে ওই ‘উইপোকা’রা দলের ক্ষতি করে চলেছে বলেও দাবি তাঁর।

তৃণমূলের শাখা সংগঠন জয়হিন্দ বাহিনী বুধবার ওই পথসভার আয়োজন করে। সেখানে সোহম বলেন, ‘‘দলে উইপোকা রয়েছে। উইপোকা বাড়িতে ঢুকে যেমন নষ্ট করে। তেমন দলের উইপোকারা গত ৬ বছর ধরে তৃণমূলকে নষ্ট করেছে।’’ সোহম তাঁর বক্তব্যে ৬ বছরের কথা বলায়, মনে করা হচ্ছে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর মতো সদ্য দলবদলুদের নিশানা করেছেন। কারণ, শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার দিন মেদিনীপুরে জানিয়েছেন, অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের শুরু ২০১৪ সালে। হিসেবে সেটা ৬ বছর।

মঙ্গলবার একই রকম ভাবে ‘উইপোকা’র কথা বলেছিলেন বালির তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। তিনি বলেছিলেন, ‘‘দল ছাড়লেই তো বেইমান বলা হবে! কিন্তু যারা উইপোকার মতো দলকে কুরে কুরে শেষ করে দিচ্ছে সেই বেইমানদেরই তো তাড়িয়ে দেওয়া উচিত।’’

ভিন্‌রাজ্য থেকে বঙ্গে আসা বিজেপি নেতাদের ‘বহিরাগত’ বলেও সোহম কটাক্ষ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলায় ঘুরতে এসো, বাংলা দেখতে এসো। মালদহের আম-মিষ্টি দিয়ে অভ্যর্থনা জানাব। স্বাগত জানাব। কিন্তু বাংলাতে কুনজর দিলে, দখল করতে চাইলে আমের আঁটি দিয়ে মারব।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা তৃণমূল কর্মীরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। বাংলাকে রক্ষা করা সুরক্ষিত রাখা আমাদের দায়িত্ব।’’

আরও পড়ুন: চাণক্য, পাণিনির অনুসরণেই মমতা প্রশাসন চালান, বললেন কাকলি

আরও পড়ুন: নীলবাড়ির হিসাব পাল্টাতে পারে ৩০ আসন, মতুয়া-মন খুঁজছে বিজেপি

দলে মতপার্থক্য থাকলেও দলনেত্রীর নির্দেশ মান্য করার আহ্বান জানিয়েছেন সোহম। তাঁর কথায়, ‘‘অনেকের সঙ্গে মতপার্থক্য থাকতে পারে। পছন্দ না-ও হতে পারে অনেক নেতাকে। কিন্তু দলের জন্য দলনেত্রীর নির্দেশকে শিরোধার্য করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে।’’

পথসভায় জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা অনুপস্থিত ছিলেন। ছিলেন না জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর, প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, সাবিত্রী মিত্র-সহ ইংরেজবাজার বিধানসভার বিধায়ক তথা পুরপ্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন না জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসও।

অন্য বিষয়গুলি:

Soham Chakraborty TMC Suvendu Adhikari BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy