ফাইল চিত্র ।
রাজ্যের আসন্ন চার পুরভোট পিছনোর আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাটি করেন সমাজকর্মী বিমল ভট্টাচার্য। তাঁর আবেদন, বেড়ে চলা কোভিড পরিস্থিতিতে নির্বাচন স্থগিত করা হোক। ওই আবেদনটি গ্রহণ করেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। এই সপ্তাহেই মামলাটির শুনানির সম্ভবনা রয়েছে হাই কোর্টে।
সারা দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ন'হাজারের বেশি। এমতাবস্থায় নির্বাচন হলে সংক্রমণ বাড়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই আদালতে ভোট পিছনোর আবেদন জানান বিমল। অন্য দিকে, মামলাকারীর আইনজীবী রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোভিড বিধি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর যুক্তি, "কমিশন বলছে ৫০০ লোক নিয়ে খোলা জায়গায় এবং ২০০ লোক নিয়ে বন্ধ ঘরে সভা করা যাবে। ওই সংখ্যক লোক নিয়ে ন্যূনতম এক ঘণ্টা সভা হলেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তা ছাড়া কেউ বিধি লঙ্ঘন করলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিয়েও পরিষ্কার করে কিছু জানানো হয়নি। আসলে দিশাহীন নির্দেশিকা দিয়েই নির্বাচন পরিচালনার করছে কমিশন।"
আগামী ২১ জানুয়ারি আসানসোল, শিলিগুড়ি, বিধাননগর ও চন্দননগর পুরসভায় ভোটগ্রহণ রয়েছে। করোনার পরিস্থিতির মধ্যে ভোট, ভোটের প্রচার এবং সভা হলে সংক্রমণ বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও ওই বিষয়ে কমিশন নিরুত্তর। কমিশনের এক কর্তার কথায়, "নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। মনোনয়ন জমা দেওয়া এবং তথ্য খতিয়ে দেখার (স্ক্রুটিনি) কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন বাতিলের কথা ভাবছে না কমিশন। কোভিডের জন্য আমরা রোড শো, মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। সভার ক্ষেত্রেও কড়া নির্দেশ রয়েছে।" তবে নির্বাচন বাতিল হবে এটা এখনই ধরে নিচ্ছে না রাজনৈতিক দলগুলিও। তারাও এ নিয়ে নিজেদের অবস্থান কমিশনকে জানায়নি। ফলে আসন্ন পুরসভার ভোট এখন ঝুলে থাকল হাই কোর্টের উপরই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy