জঞ্জাল-যন্ত্রণা থেকে কিছুটা সুরাহা পেলেন হাওড়াবাসী। বুধবার থেকেই বেলগাছিয়ার ভাগাড় থেকে ধাপে ধাপে আবর্জনা সরানো হচ্ছে কলকাতার ধাপায়। তবে এখনও শহরের নানা প্রান্তে আবর্জনার স্তূপ জমে রয়েছে। দুর্গন্ধও ছড়িয়েছে এলাকায়। অন্য দিকে, ভাগাড়ে ধসের জেরে বেলগাছিয়া এলাকার বহু পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের তরফে এমন ২০০টি পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়ার কথা।
জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ৬০টি অতি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে ১৫ হাজার এবং তুলনায় অল্প ক্ষতিগ্রস্ত ১১৩টি পরিবারের হাতে ১০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হবে। অস্থায়ী বাসস্থান হিসাবে একটি স্কুলবাড়ি এবং কন্টেনারের বন্দোবস্ত করেছে প্রশাসন। তবে কন্টেনারে থাকার বন্দোবস্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঘরছাড়ারা। তাঁদের দাবি, মাথার উপর পাকা ছাদের ব্যবস্থা করে দিতে হবে প্রশাসনকে।
ভাগাড়ে ধসের জেরে ঘরছাড়া হয়েছে ২৬০টি পরিবার। বাকি পরিবারগুলিও ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ঘরছাড়াদের আবাস যোজনার মাধ্যমে পাকা বাড়ি করে দেওয়া হবে। তবে ওই এলাকায় স্থায়ী নির্মাণকাজ শুরুর আগে মাটি পরীক্ষা বা ‘সয়েল টেস্ট’ করে নিতে চাইছে প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে এলাকাটির মাটি ভারী কোনও নির্মাণকাজের ভার বহন করতে সক্ষম কি না, তা বোঝা যাবে। এই পরিস্থিতিতে পুনর্বাসন এবং জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে বিকল্প উপায় ভাবতে বৃহস্পতিবারই রাজ্যের পুর নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে আর একপ্রস্ত বৈঠকে বসার কথা হাওড়া পুরসভার।
মঙ্গলবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তীর বৈঠকে স্থির হয়েছিল, হাওড়া শহরের রোজকার জঞ্জাল শিবপুরের আড়ুপাড়ায় ফেলা হবে। কিন্তু তা করতে গিয়ে বুধবার বাধার মুখে পড়তে হয় পুর প্রশাসনকে। ময়লার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা, যার জেরে বিপাকে পড়ে প্রশাসন। ধস-পরবর্তী পরিস্থিতিতে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে আপাতত ময়লা ফেলা হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বুধবার থেকেই ধাপে ধাপে হাওড়ার ময়লা সরানো হচ্ছে কলকাতার ধাপায়।