মৃত শিল্পীর দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
এসেছিলেন কালীপুজোর অনুষ্ঠানে গান গাইতে। আর গান গাইতে গাইতেই মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। পরে মৃত্যু হল গায়ক দেবাশিস দাস (৪৮)-এর। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের খাস কুমড়োখালি গ্রামের ঘটনা। যে ঘটনা মনে করাচ্ছে কেকে-র স্মৃতি। নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শিল্পী। পরে মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেবাশিসের বাড়ি কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্টে। কালীপুজো উপলক্ষে কুমড়োখালি গ্রামের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে এসেছিলেন তিনি। প্রথম থেকে গান গেয়ে দর্শকাসনে আগতদের মাতিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু গান গাইতে গাইতে তিনি হঠাৎই গান থামিয়ে মঞ্চে বসে পড়েন। আয়োজকদের জানান যে তাঁর বুকে ব্যথা হচ্ছে। এর পর শিল্পীকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ক্যানিং থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিল্পীর দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৩১ মে মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে গান গাইতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলিউডের খ্যাতনামী নেপথ্য গায়ক কৃষ্ণকুমার কুনাথ ওরফে কেকে। অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে একবালপুরের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানের সময় ভিড়ে ঠাসা নজরুল মঞ্চে গান গাইতে দর দর করে ঘামছিলেন কেকে। মৃত্যু যে আসন্ন, তা-ও কি বুঝতে পারেননি! তবুও গান গাওয়া চালিয়ে গিয়েছিলেন। এক বারের জন্যও থামেননি। নেচে-গেয়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন দর্শকদের। যেন এ রকমই মৃত্যু চাইতেন গায়ক। কেকে-র মতো ক্যানিংয়ে অনুষ্ঠান করতে আসা দেবাশিস অত খ্যাতনামী ছিলেন না। কিন্তু শিল্পী ছিলেন। হালফ্যাশনের জামা পরে নজরুল মঞ্চের নতুন প্রজন্মের ভিড় হয়তো তিনি পাননি। কিন্তু গ্রামের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁর দর্শক ছিল আট থেকে আশি। অসুস্থ হয়ে পড়ার আগে পর্যন্ত গান গেয়ে যান দেবাশিস। কিছুটা ভালবাসার টানে। কিছুটা পেটের টানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy