শিলিগুড়ি পুরবোর্ড গড়ার দিকে আরও এক ধাপ এগোলেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা বামেদের মেয়র পদের দাবিদার অশোক ভট্টাচার্য। নির্দল কাউন্সিলর অরবিন্দ ঘোষের (অমু) ১৪ দফা শর্ত লিখিত ভাবে মেনে নিল দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্ট। ফলে ২৪জন সদস্য নিয়ে পুরবোর্ড গঠনে বাধা রইল না বামেদের।
অশোকবাবু এ দিন বলেন, ‘‘মেয়র পরিষদে থাকার জন্য অরবিন্দবাবুকে অনুরোধ করেছিলাম। উনি আপাতত কোনও পদে থাকতে চান না বলে জানিয়েছেন। মেয়র পারিষদদের কাজকর্মে সহায়তার জন্য একটি কোর কমিটি তৈরি করছি। উনি তাতে থাকতে রাজি হয়েছেন।’’
যা জানার পরে তৃণমূলের পুরসভার দলনেতা নান্টু পাল বলেন, ‘‘বোর্ড গড়ার ব্যাপারে এখন কিছু বলব না। আগে বিজ্ঞপ্তি জারি হোক।’’ অরবিন্দবাবুর চিঠির প্রসঙ্গে নান্টুবাবুর দাবি, ‘‘অরবিন্দবাবুর সঙ্গে আমারও কথা হয়েছে। তৃণমূলের উপরে তাঁর রাগ নেই, ব্যক্তিগত ভাবে কিছু মানুষের উপরে ক্ষোভ রয়েছে।’’ সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৮ মে শিলিগুড়িতে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তৃণমূল সূত্রে খবর, তার আগে হাল ছাড়তে রাজি নন নান্টুবাবু।
শনিবার বিকেলে অশোকবাবুর সুভাষপল্লির বাড়িতে দলের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। অরবিন্দবাবুর শর্তের মধ্যে পুরবোর্ডে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা, ট্রেড লাইসেন্স সরলীকরণ, ভূগর্ভস্থ পার্কিং তৈরি করার কথা রয়েছে। এর সবই মেনে নিয়েছে বামেরা।
শিলিগুড়িতে পুরসভার ৪৭ আসনের মধ্যে বামেরা পেয়েছে ২৩টি। তৃণমূল ১৭টি, কংগ্রেস ৪টি, বিজেপি ২টি। একটি আসন নির্দলের দখলে গিয়েছে। নির্দল অরবিন্দবাবু তৃণমূলে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বছর দেড়েক আগে সহ-সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। এ বার তিনি পুরভোটে নির্দল হিসেবে লড়েন। তিনি জেতার পরে তৃণমূলের একাংশ তাঁকে ফের কাছে টানার জন্য মরিয়া হন। ফলে কয়েক দিন ধরে অমুবাবুর গতিবিধি নিয়ে কৌতূহল ছিল। এ দিন সেই জল্পনার অনেকটাই অবসান হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy