তৃণমূলের পতাকা হাতে শিখা মিত্র (মাঝখানে)। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলে ফিরে গেলেন প্রয়াত সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্র। তৃণমূল ভবনে রবিবার দলের পতাকা দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ও দলের শাখা সংগঠন ‘বঙ্গজননী’র প্রধান মালা রায় এবং চৌরঙ্গির বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে ২০০৯ সালে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ হন সোমেনবাবু। আর সোমেনবাবুর ছেড়ে দেওয়া শিয়ালদহ বিধানসভা কেন্দ্র (অধুনা লুপ্ত) থেকে তৃণমূলের টিকিটে উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন শিখা। পরে ২০১১ সালে চৌরঙ্গি কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের বিধায়ক হন তিনি। তবে কংগ্রেসে ফিরে এসে ২০১৪ সালে উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান সোমেনবাবু। তৃণমূলে বিবাদে জড়িয়ে বিধায়ক-পদ থেকে থেকে ইস্তফা দেন শিখাও। তৃণমূলে ফিরে আসা সম্পর্কে এ দিন শিখার দাবি, ‘‘কাজ করতে গেলে বিরোধ হয়। আমি কখনও তৃণমূল ছাড়িনি। তবে সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলাম না। স্বামীর মৃত্যুর পরে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহারে সাড়া দিয়ে রাজনীতি করার কথা ভেবেছি।’’ তৃণমূলে এ দিন যোগ দিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী এবং প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শ্যালক-পত্নী শুভ্রা ঘোষও। গত লোকসভা ভোটে হাওড়ায় কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন তিনি। প্রণব-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ও ইতিমধ্যে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
শিখার দলত্যাগ সম্পর্কে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘আমার রাজনৈতিক অভিভাবক ছিলেন সোমেনদা। তাঁর সহধর্মিনী হিসেবে শিখা মিত্রকেও শ্রদ্ধা করি। তবে তাঁর দলত্যাগ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে আমার মন্তব্য করা উচিত নয় বলেই মনে করি।’’ সোমেনবাবুর মৃত্যুর পরে ‘বিধান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’-এর চেয়ারপার্সন শিখাদেবী। প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবন ওই ট্রাস্টের হাতেই। শিখাদেবী ফের আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যাওয়ার পরে ওই ট্রাস্টের বিষয়ে ফের ভাবনাচিন্তা করতে হচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy