বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজস্ব চিত্র
বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য মুকুল রায়কে এক দিন সময় দিল বিজেপি। তার মধ্যে তিনি ইস্তফা না দিলে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুকুলকে নিশানা করে এমনটাই জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি বুধবারের মধ্যে বিধানসভার স্পিকারের কাছে মুকুলের বিরুদ্ধে আবেদন জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার দলের ৫০ জন বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনে যান শুভেন্দু। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে দলত্যাগ বিরোধী আইন-সহ একাধিক বিষয় উত্থাপন করেন তাঁরা। তবে বিজেপি বিধায়কদের নিশানায় ছিলেন মূলত মুকুলই। নাম না করে মুকুলকে নিশানা করে শুভেন্দুও। বলেন, ‘‘কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক দলবদল করেছেন। আমরা আশা করব যে তিনি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। পদত্যাগ যদি মঙ্গলবারের মধ্যে না করেন, তা হলে বুধবার দিন আমরা স্পিকারের কাছে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার জন্য লিখব।’’ শুভেন্দুর দাবি, এর আগে বিধায়ক থাকা অবস্থায় অনেকেই দলবদল করেছেন। তার পরেও গত ১০ বছরে এ রাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করা হয়নি। এ বার তা প্রয়োগের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন জানাব।
দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার জন্য বিজেপি সব রকম ভাবে প্রস্তুত। এমনকি এই আইন রাজ্যে কার্যকর না হলে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতারাও হস্তক্ষেপ করবেন বলে জানান শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘অনেক রাজ্যে উদাহরণ রয়েছে, যেখানে এই আইন কার্যকর করা হয়েছে। এ রাজ্যেও করার জন্য প্রথমে স্পিকারের কাছে আর্জি জানাব। তাছাড়া এই বিষয়টি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব এবং আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও দেখছেন। তাঁরা যেভাবে পরামর্শ দেবেন সেই ভাবে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’
গত শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা না দিয়েই তিনি দলবদল করেন। ফলে খাতায়কলমে মুকুল এখনও বিজেপি-র বিধায়ক। তাতেই আপত্তি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। তাঁরা চাইছেন মুকুলকে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। অথচ মুকুল জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর বর্তমান দলই ঠিক করবে তিনি ইস্তফা দেবেন কি না। অন্য দিকে, একই ভাবে সাংসদ পদ না ছাড়ার জন্য শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীর দিকে আঙুল তুলছে তৃণমূল। তাদের দাবি, শিশিরও সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা না দিয়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। সোমবার অবশ্য এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় নন্দীগ্রামের বিধায়ককেও। তবে তাঁর স্পষ্ট জবাব, ‘‘ওই বিষয়ে লোকসভার স্পিকার সিদ্ধান্ত নেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy