প্রতীকী ছবি
আমপান-ক্ষতিপূরণে লেগে যাওয়া দুর্নীতির কালি মুছতে তৎপর হলেন দুই জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার শো-কজ় করা হল হুগলির আরামবাগের আরান্ডি-১ পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধান সোহরাব হোসেনকে। হাওড়ার পাঁচলা পঞ্চায়েতের প্রধান মুজিবর রহমানের অভিযোগ গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হল।
ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় ৮০ শতাংশ নামই ভুয়ো, লিখিত ভাবে এই অভিযোগ জানিয়ে কিছু দিন আগে জেলাশাসকের কাছে তদন্ত দাবি করেছিলেন মুজিবর। জেলা (সদর) তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘তালিকা তৈরিতে কারও মদতে যদি কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকে, তাঁকে ছাড়া হবে না।
এই সব অভিযোগের তদন্ত করেন রাজ্য নেতৃত্ব। মুজিবরের অভিযোগপত্র রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেব।’’ জেলাশাসক মুক্তা আর্য জানিয়েছেন, মুজিবর অভিযোগ জানানোর আগে থেকেই পাঁচলায় তদন্ত শুরু করে ব্লক প্রশাসন। অনেকের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়া হয়েছে। টাস্ক ফোর্স তালিকা যাচাইয়ের কাজ করছে।
তালিকায় নাম উঠেছে ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কনক নাগের স্বামী সঞ্জয় এবং খুড়শ্বশুর নির্মলের। সঞ্জয়ের পাকা দোতলা বাড়ি রয়েছে। নির্মলও পাকা বাড়িতে থাকেন বলে এলাকাবাসীর দাবি।
ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, সঞ্জয়ের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি টাকা পেয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পেলে ফেরত নেওয়া হবে। সঞ্জয়ের দাবি, তিনি টাকা পাননি। নির্মল সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন বলে এলাকাবাসী দাবি করলেও তা মানেননি কনক। তাঁর দাবি, ‘‘খুড়শ্বশুর সরকারি প্রকল্পে টাকা বা বাড়ি— কিছুই পাননি।
একটি ঝুপড়িতে থাকেন। সেটি আমপানে ভেঙে পড়ায় তাঁর নাম তালিকায় উঠেছে।’’
পাঁচলা ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ‘গীতাঞ্জলি’ প্রকল্পে নির্মলবাবুকে ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। তদন্তে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে ওই টাকায় তিনি কোথায় বাড়ি করেছেন? সেই বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ যাবে না।
ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা থেকে আরামবাগের আরান্ডি-১ পঞ্চায়েতের প্রধান সোহরাব হোসেনের বোন মরিয়ম বেগম, ছেলের শ্বশুর সেকেন্দার বাদশা এবং ঘনিষ্ঠ চার দলীয় নেতানেত্রীর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্লক বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
এ দিন জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব জানান, পঞ্চায়েতের তালিকায় ১৭ জনের ভুয়ো নাম রয়েছে বলে অভিযোগ মিলেছে। তিনি বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় আত্মীয়স্বজনের নাম ঢোকানো এবং গাছ কাটার অভিযোগে সোহরাবকে শো-কজ় করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে উপযুক্ত জবাব না পেলে দলে ব্যবস্থা নেবে।”
জবাবে সোহরাব বলেন, ‘‘শো-কজ়ের চিঠি পেলে উত্তর দেব। তালিকা নিয়ে সরকারি স্তরে কোনও তদন্ত ছাড়াই আমাকে দেগে দেওয়া হয়েছে। অন্যায় ভাবে কিছু নামও বাতিল করা হয়েছে।”
মহকুমাশাসক (আরামবাগ) নৃপেন্দ্র সিংহ জানান, কোনও প্রধানের তালিকাই মানা হবে না। ব্লক এবং পঞ্চায়েত আধিকারিকরা ক্ষয়ক্ষতির ছবি-সহ এলাকা পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেবেন। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy