প্রতীকী চিত্র।
কোচবিহারের দিনহাটার বিজেপি কর্মী হারাধন রায় খুনের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। রবিবার তাঁদের গোপালপুরের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তার পরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই জানিয়েছে, ধৃতদের নাম জামানত মিয়া, জাকির হোসেন, মোবারক হোসেন, নবী হোসেন, দিলদার হোসেন, দেলোয়ার হোসেন এবং তাতিব মিয়া। ধৃতেরা তৃণমূল কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
বীরভূমের ইলামবাজারের গোপালনগরে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার খুনেও এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ধৃতের নাম দিলীপ মির্ধা ওরফে ভনা। সোমবার ধৃতকে বোলপুর আদালতে তোলা হলে আদালত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সিবিআই জানিয়েছে, দিলীপ ফেরার ছিলেন। হুগলি জেলার শেওড়াফুলি এলাকা থেকে সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের দাবি, এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত হলেও ভোট-পরবর্তী গোলমালের ঘটনার পর থেকেই দিলীপকে এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। এ দিন আদালত চত্বরে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, দিলীপের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই।
কোচবিহারের দিনহাটার ঘটনায় ধৃতদের সোমবার স্থানীয় আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের আইনজীবী সুজয় সাহা জানান, সিবিআই এর পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের চার দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। আদালত দুই দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। গত শুক্রবার এই জেলারই তুফানগঞ্জের তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার হয়েছিল।
ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় এ দিন হাওড়ার বাঁকড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে যায় সিবিআই। বাঁকড়ার রাজীব পল্লির তিন বাসিন্দা রাকেশ রাই, তিলক সাঁতরা এবং রিন্টু অধিকারীর বাড়িতে নোটিস দিয়ে আজ, মঙ্গলবার এবং আগামিকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নোটিস দিতে এসে এক মহিলা দরজার চাবি না-খোলায় তালা ভাঙার চেষ্টা করেন সিবিআই অফিসারেরা। পরে অবশ্য তালা না-ভেঙেই তাঁরা চলে যান।
ভোট-পরবর্তী হিংসায় জগদ্দল থানার অন্তর্গত ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের আকাশ যাদব নিহত হন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ২ মে দুপুরে তাঁকে বাড়ির কাছে খুন করা হয়েছিল। এ দিন দুপুরে সিবিআইয়ের দল তাঁর বাড়ি ও ঘটনাস্থলে যায়। বাড়ির সদস্যদের দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদও করে সিবিআই। নিহতের ভাই অভিষেক যাদবকে শ্রীহরি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে এসে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার পরে অভিষেককে নিয়ে জগদ্দলের আতপুরে তল্লাশির জন্য রওনা দেয়। প্রসঙ্গত, আগেও দু’বার এখানে এসেছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy