বোগদার দিকে সাবওয়ের মুখে বসানো হয়েছে লাগেজ স্ক্যানার
খড়্গপুর রেলস্টেশনে সুসংহত নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করতে চলেছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
যাত্রী নিরাপত্তায় অনুমোদন হয়েছে একাধিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম। স্টেশনে প্রবেশের মুখেই যাত্রীদের ব্যাগপত্র পরীক্ষা করতে বসানো হচ্ছে লাগেজ স্ক্যানার। পাশেই যাত্রীদের চলার পথে বসবে মেটাল ডিটেক্টর ডোর ফ্রেম। সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই ওই দুই সরঞ্জাম চালু করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। এখানেই শেষ নয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটোসাঁটো করতে গোটা স্টেশন চত্বরকে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে। সেই সঙ্গে পার্কিং জোনে গাড়ি তল্লাশিতে ব্যবহার করা হবে আন্ডার ভেহিক্যাল স্ক্যানার। আরও সিসি ক্যামেরা ও মেটাল ডিটেক্টরে মুড়ে ফেলা হবে স্টেশন চত্বর। তবে সেই কাজে আরও দু’বছর সময় লাগবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল সিকিয়োরিটি কমিশনার বিবেকানন্দ বলেন, “দেশের বেশ কয়েকটি স্টেশনের সঙ্গে খড়্গপুরকে বেছে নিয়ে ইন্টিগ্রেটেড সিকিয়োরিটি সিস্টেম চালুর কথা বলা হয়েছে। তার অনুমোদন হয়েছে। তাতে বছর দু’য়েক সময় লাগবে। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে লাগেজ স্ক্যানার, মেটাল ডিটেক্টর-সহ কয়েকটি নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমরা চালু করব।”
বিশ্বমানের স্টেশন হলেও বরাবর খড়্গপুরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ ঢিলেঢালা। একসময়ে দক্ষিণদিকে সাবওয়ের মুখে ও ফুটব্রিজের দু’প্রান্তে মেটাল ডিটেক্টর ডোর ফ্রেম থাকলেও তাতে নজরদারিতে দেখা যেত না রেল সুরক্ষা বাহিনীকে। শেষমেশ তুলেই দেওয়া হয়েছিল ওই ডোর ফ্রেমগুলি। তার পর থেকে নিরাপত্তায় একেবারে বেআব্রু চেহারা দেখা যাচ্ছে এই স্টেশনে। এ বার স্টেশনের দক্ষিন দিকে সাবওয়ের মুখে লাগেজ স্ক্যানার ও মেটাল ডিটেক্টর ডোর ফ্রেম বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণদিকের জন্য দু’টি করে এই সরঞ্জাম আনা হয়েছিল। কিন্তু উত্তর দিকের মালগুদাম এলাকায় কোথায় ওই সরঞ্জাম বসানো হবে তা ঠিক করতে না পারায় একটি ল্যাগেজ স্ক্যানার অন্য ডিভিশনে চলে গিয়েছে। একটি লাগেজ স্ক্যানার শুধুমাত্র দক্ষিণ দিকের বোগদা এলাকার সাবওয়ের মুখে বসানো হচ্ছে।
নিরাপত্তায় বসানো হচ্ছে সরঞ্জাম। তবে তাতেই পুরোপুরি নিঃসংশয় হতে পারছেন না যাত্রীদের একাংশ। মেদিনীপুর-খড়্গপুর-হাওড়া ডেলি প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জয় দত্ত বলেন, “শুধুমাত্র লোকদেখাতে এক প্রান্তে ওই সরঞ্জাম বসালে সুফল মিলবে না। দু’প্রান্তে ওই সরঞ্জাম বসানোর নজরদারিতে জোর দিতে হবে।” বিষয়টি নিয়ে রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল সিকিয়োরিটি কমিশনার বিবেকানন্দ বলেন, “রেলে কখনই বিমানবন্দরের মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু সম্ভব নয়। যদিও খড়্গপুর স্টেশন অনেক বেশি নিরাপদ। তবে যখন এই সরঞ্জাম চালু হবে তখন পরিকাঠামো সেভাবেই সাজানো হবে।” সিনিয়ার ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার আদিত্য চৌধুরী আশ্বস্ত করে বলেন, “স্টেশনের দু’দিকে নিরাপত্তায় লাগেজ স্ক্যানার, মেটাল ডিটেক্টর ডোর চালু করা হবে। পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy