Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪

ফের বিতর্কে স্কুল পরিদর্শক

কখনও স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সরকারি অনুদান সত্ত্বেও তিনি জোর করে চাঁদা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কখনও আবার খেলার মাঠে তাঁর নাচকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই শুরু হতেই ফোনে উড়ে এসেছে তাঁর ‘হুমকি’।

ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া। আনন্দবাজার এর সত্যতা যাচাই করেনি।

ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া। আনন্দবাজার এর সত্যতা যাচাই করেনি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৪০
Share: Save:

বিতর্ক যেন তাঁর পিছু ছাড়ছে না!

কখনও স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সরকারি অনুদান সত্ত্বেও তিনি জোর করে চাঁদা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কখনও আবার খেলার মাঠে তাঁর নাচকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই শুরু হতেই ফোনে উড়ে এসেছে তাঁর ‘হুমকি’। যাঁকে ঘিরে এত বিতর্ক তিনি সারগাছি চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অমৃতা বিশ্বাস।

শনিবার খুদেদের ওই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণের পরে বেজে উঠেছিল ঢাক। অন্যদের সঙ্গে নেচে উঠেছিলেন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অমৃতা বিশ্বাসও। ওই নাচের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার পরে জেলার অনেকেই সমালোনায় মুখর হয়েছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে এক জন বিতর্কিত অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের এ ভাবে নাচানাচি করা কতটা শোভন?

ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বহরমপুরের বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী চন্দ্রপ্রকাশ সরকার লিখেছেন, ‘‘নাচ দেখে বোঝার উপায় নেই এটি ছাত্র-ছাত্রীদের ক্রীড়ানুষ্ঠান, নাকি পুজোর ভাসান! বন্ধুরা ভিডিয়োটি দেখে বলুন, এই ধরনের নাচ অশালীন এবং আপত্তিজনক কিনা!’’

চন্দ্রপ্রকাশের অভিযোগ, ‘‘ওই পোস্ট দেখে ফোন করে অমৃতা বিশ্বাস নিজের পরিচয় দিয়ে আমাকে হুমকি দেন। জানতে চান, কেন আমি ভিডিয়োটি পোস্ট করেছি।’’ যা শুনে অমৃতা অবশ্য পাল্টা বলছেন, ‘‘এই নাচের মধ্যে শালীনতার প্রশ্ন কী ভাবে উঠছে আমি জানি না। চন্দ্রপ্রকাশবাবুর সঙ্গে ওই পোস্ট নিয়ে কথা হয়তো বলেছি, তবে তার মধ্যে কোনও হুমকি ছিল না। পুরো ঘটনাটা রাজনৈতিক অভিসন্ধি।’’ জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) নৃপেনকুমার সিংহ বলছেন, ‘‘বিষয়টি আমি জানি না। ঠিক কী ঘটেছে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

শনিবার ছিল সারগাছি চক্রের ৪১তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বেলডাঙার ভাবতা আজিজিয়া হাই মাদ্রাসার মাঠে প্রাথমিক স্কুল, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও মাদ্রাসার পড়ুয়াদের নিয়ে ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। তার জন্য স্কুল শিক্ষা দফতর এ বছরই প্রথম বরাদ্দ করেছিল এক লক্ষ টাকা। তা সত্ত্বেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। শিক্ষকদের একাংশ অভিযোগ করেছিলেন, মোবাইলে রীতিমতো বার্তা পাঠিয়ে সে চাঁদা ‘বাধ্যতামূলক’ করেছেন অমৃতাই।

সে কথা অবশ্য মানতে চাননি অমৃতা। তাঁর যুক্তি ছিল, ‘‘অনুষ্ঠানে দামি পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। খাওয়া-দাওয়ারও ব্যবস্থা ছিল ঢালাও। খরচ সামাল দিতে শিক্ষকেরা নিজেরাই টাকা দিয়েছিলেন।’’ সেই বিতর্ক থিতিয়ে যাওয়ার আগেই ফের ‘হুমকি’ নিয়ে হইচই। প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণির পরে বাজনার তালে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ও কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকেও নাচতে দেখা যায়। ঘটনার দিনই ওই নাচের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন চন্দ্রপ্রকাশ। তবে সকলেই যে চন্দ্রপ্রকাশকে সমর্থন করেছেন এমনও নয়। কয়েক জন ‘কেন অশালীনতার কী দেখলেন’ বলেও মন্তব্য করেছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

School Sub Inspector Controversy Amrita Biswas
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy