বাংলার শিক্ষাবিদ এবং কৃতীদের মত জানতে চান বিচারপতি। ফাইল চিত্র।
রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বাংলার নোবেলজয়ীরা কী বলতে চান? জানতে চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাই কোর্টে নিজের এজলাসেই এ নিয়ে কৌতূহল প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘ওঁরা তো অনেক বিষয়েই নানা মন্তব্য এবং মতামত জানিয়ে থাকেন। আমার কৌতূহল, স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে এই সব মহান, স্বীকৃত শিক্ষাবিদদের পর্যবেক্ষণ কী?’’
মহান, স্বীকৃত শিক্ষাবিদ বলতে বিচারপতি কাদের বোঝাতে চাইছেন, তা অবশ্য নিজেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বলেছেন, তিনি বাংলার দুই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এবং অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই বলতে চাইছেন।
বুধবার বিচারপতি এই মন্তব্য করেন নিজের এজলাসে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথোপকথন চলাকালীন। বিচারপতি বলেন, ‘‘স্কুলে নিয়োগে এত বড় দুর্নীতি হল। নোবেলজয়ীরা কী বলেছেন? অমর্ত্য সেন রয়েছেন, যিনি প্রতীচী ট্রাস্ট গড়ে কাজ করছেন। নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। আমার জানতে ইচ্ছে করছে এঁরা কী বলছেন? এই সব মহান, স্বীকৃত শিক্ষাবিদদের এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ কী?’’
প্রসঙ্গত, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির বহু মামলা এখনও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিচারাধীন। সেই সব মামলায় তাঁর দেওয়া নির্দেশ এবং নানা মন্তব্য বার বার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। সম্প্রতি বাংলার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্যের একটি মন্তব্য নিয়েও আলোচনা চলছে। কারণ অমর্ত্য বলেছেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা নেই তা নয়।’’ বিচারপতি নোবেলজয়ীদের নানা বিষয়ে মন্তব্য বলতে এই মন্তব্যটির কথাই বলেছেন কি না অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে রাজনৈতিক এবং আইন জগতের অনেকেই মনে করছেন, বিচারপতির ইঙ্গিত সে দিকেই। অন্য দিকে, অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ রাজ্যের কোভিড সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির প্রধান ছিলেন এক সময়ে। মমতাই তাঁকে ওই কমিটিতে রেখেছিলেন। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে তাঁরও মতামত জানতে চেয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy