স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের অতিরিক্ত বেতন ফেরাতে নির্দেশ দিল শিক্ষা দফতর। বৃহস্পতিবার এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষকদের অতিরিক্ত বেতন ফেরাতে বলা হয়েছে। চলতি বছর ২ মে প্রকাশিত এক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এই অতিরিক্ত বেতন ফেরাতে বলা হয়েছে। শিক্ষা দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তির শেষ অংশে লেখা হয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অতিরিক্ত বেতন ফেরাতে হবে স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে রোপা ( রিভিশন অফ পে অ্যান্ড অ্যালায়েন্স) চালু হওয়ার আগে মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা নিজেদের বেতনের পাশাপাশি একটি ‘বর্ধিত বেতন’ পেতেন, সঙ্গে তিন শতাংশ অতিরিক্ত একটি ভাতা পেতেন। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে, অল্প ‘বর্ধিত বেতনের’ সঙ্গে প্রধানশিক্ষকরা মাসে ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত পেতেন।
আরও পড়ুন:
-
অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মৃত্যু মা এবং মেয়ের! উলুবেড়িয়ায় জাতীয় সড়কে অবরোধ
-
‘দুই চোর আর টাকার পাহাড়…’! পার্থ, অনুব্রত, মানিকের মধ্যে কাকে বাদ রাখলেন অর্জুন?
-
জামতাড়ায় মাটির নীচে অস্ত্র কারখানা! কলকাতায় কার্বাইন-সহ ধৃতকে জেরা করে গোপন ডেরার হদিস
-
ফের উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম, বিজেপির বিরুদ্ধে পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগে পথ অবরোধ তৃণমূলের
রোপা চালু হবার পর ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সরকারি কর্মচারীদের জন্য পে কমিশন চালু হয়ে যায়। ফলস্বরূপ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের ওই অতিরিক্ত বেতন বা ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি শিক্ষা দফতর জানতে পারে, সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে স্কুলের প্রধানশিক্ষকরা অতিরিক্ত বেতন ও ভাতা নিয়েছেন। তাই প্রথম পর্যায়ে ২ মে ও পরবর্তী ক্ষেত্রে ১৩ অক্টোবর নির্দেশিকা জারি করে এই অতিরিক্ত বেতন দ্রুত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় অবশ্য শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলেছেন। তাঁর কথায়, “সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে অতিরিক্ত বেতন বা ভাতা নেওয়া উচিত নয়। তাই প্রধানশিক্ষকদের ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত শিক্ষা দফতর নিয়েছে তা দ্রুত কার্যকর করা উচিত।” তবে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, “এখন স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের প্রায় ২৪ ঘন্টা কাজ করতে হয়। এত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার পর যদি প্রধানশিক্ষকদের অতিরিক্ত কিছু দেওয়া না হয়, তাহলে তাঁরা কাজে আগ্রহ পাবেন কী ভাবে? সরকারের উচিত, প্রধানশিক্ষকদের অতিরিক্ত বেতন দেওয়ার ব্যাপারে নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করা।”