রামনবমীতে বাংলার কয়েকটি এলাকায় হিংসার ঘটনার তদন্তের ভার এনআইএ-কে দেওয়ার বিরোধিতা করে রাজ্য সরকারের আবেদনে সাড়া দিল না সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্টের দেওয়া এনআইএ তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্যের তরফে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারডিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কলকাতা হাই কোর্ট এনআইএ তদন্তের যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে হস্তক্ষেপ করা হবে না। এ বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ই বহাল রাখার কথা জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া-চন্দননগর, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় গোষ্ঠীহিংসায় এনআইএ তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাজ্য সরকারের তরফে যে আর্জি জানানো হয়েছিল, শীর্ষ আদালত গত মে মাসে তা খারিজ করে দিয়েছিল। এ বার খারিজ হয়ে গেল হাই কোর্টের নির্দেশ বাতিলের আর্জি। অর্থাৎ এনআইএ তদন্তের পথে কোনও বাধা রইল না।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়া-হুগলির-উত্তর দিনাজপুরের কয়েকটি এলাকায় হিংসার ঘটনা নিয়ে গত ২৭ এপ্রিল এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, রাজ্যকে এ সংক্রান্ত সমস্ত নথি এনআইএ-কে হস্তান্তর করতে হবে। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য।
শীর্ষ আদালতের কাছে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির যুক্তি ছিল, জনস্বার্থ মামলায় তদন্তের ভার এনআইএ-কে দেওয়া যায় না। দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা ছাড়া সাধারণ হিংসার মামলায় এনআইএ আইন প্রয়োগ করা যায় না বলেও বৃহস্পতিবার শুনানিতে দাবি করেছিলেন তিনি। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনস্বার্থ মামলা করছেন অভিযোগ করে হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদনে জানানো হয়েছিল শীর্ষ আদালতের কাছে। কিন্তু শুক্রবার সেই যুক্তি খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত।