শিবমন্দিরে দাস সম্প্রদায়ের লোকেদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি শোরগোল পড়েছিল পূর্ব বর্ধমানে কাটোয়ার গীধগ্রামে। কয়েক দিনের চাপানউতরের পর তার মীমাংসা হয়েছে। মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করে পুজো দিয়েছেন দাস সম্প্রদায়ের পাঁচ জন। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না-কাটতেই নদিয়ার মন্দিরে ‘অস্পৃশ্যতা’র অভিযোগ উঠল। সেই সংক্রান্ত একটি মামলায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতির মন্তব্যের, ‘‘কিসের এত ইগো? পুলিশ কি শুধু রিপোর্ট লিখে অফিসে বসে থাকবে?’’
নদিয়ার বৈরামপুরে একটি প্রাচীন শিবমন্দির রয়েছে। স্থানীয় তফসিলি জাতিভুক্ত রজক বা ধোপা সম্প্রদায়ের লোকেদের অভিযোগ, গাজন উৎসবে তাঁদের ওই মন্দিরে প্রবেশ এবং সন্ন্যাসী হওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার আদালতে শুনানির সময় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ গোটা বিষয়টিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘এটা কী ভাবে সম্ভব? পুলিশের ভূমিকা কী? এক জন মানুষ কেন নিজের অধিকার পাবেন না? বাংলায় এমন সমস্যা ছিল না বলেই আমার বিশ্বাস।’’
বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘ওসি নয়, সিনিয়র অফিসারদের দায়িত্ব নিতে হবে। পিছনে কোনও গুঞ্জন থাকলে তার তদন্ত করাও পুলিশের দায়িত্ব। এমন বৈষম্যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। বাংলায় যেন এর পুনরাবৃত্তি না হয়।’’
জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।