সোমবারও জামিন হল না মানিক ভট্টাচার্য (ডান দিকে)-এর পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য (বাঁ দিকে)-এর। — ফাইল চিত্র।
টাকা যে পাওয়া গিয়েছে, তা ‘প্রতিষ্ঠিত তথ্য’। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যের বিষয়ে এ কথাই জানাল কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন শৌভিক। সোমবারও মেলেনি জামিন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয়।
জামিনের আবেদন জানিয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন শৌভিক। সোমবার এ মামলার শুনানিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সওয়াল করে জানায়, এই নিয়োগ দুর্নীতি, চাকরি দেওয়ার নামে টাকার লেনদেন শুরু হয়েছে কলামন্দির প্রেক্ষাগৃহ থেকে। সেখানে বিএড, ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল শৌভিকের। সেই বৈঠকে তৈরি হয় একটি হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ। সেই গ্রুপের মাধ্যমেই টাকা লেনদেন হত বলে দাবি ইডির। শৌভিকের আইনজীবী পাল্টা জানান, ৫৩০টি বিএড, ডিএলএড কলেজের কথা ইডি বলেছে। কিন্তু অভিযোগ করেনি যে, ওইগুলি থেকে টাকা তোলা হয়েছে। এই কলেজ থেকে টাকা তোলার প্রমাণ নেই।
তখনই বিচারপতি ঘোষ শৌভিককে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি তো ফুড কর্পোরেশনের কর্মী ছিলেন। এখনও সেখানকার কর্মী?’’ জবাবে আইনজীবীর মাধ্যমে শৌভিক বলেন, ‘‘ফুড কর্পোরেশনের চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলাম। এখন আমি সাসপেন্ড হয়েছি।’’ এর পরেই বিচারপতি জানান, শৌভিকের বিরুদ্ধে যখন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে, তখন তিনি ফুড কর্পোরেশনে কর্মরত ছিলেন। টাকা যে পাওয়া গিয়েছে, তা প্রতিষ্ঠিত তথ্য।
এই শুনানি চলাকালীন ‘আরএক্স’ নামে এক জন অপরিচিত ইউজার ভার্চুয়াল মাধ্যমে ঢুকে পড়েন। বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘এই ধরনের হাই প্রোফাইল মামলায় কেউ কী ভাবে ঢুকলেন?’’ প্রযুক্তি কর্মী জানান, যিনি ঢুকেছিলেন, তিনি বেরিয়ে গিয়েছেন।
নিয়োগ মামলায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল মানিকের স্ত্রী শতরূপা এবং তাঁদের পুত্র শৌভিককে। দু’জনেরই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। মানিকের পুত্রের একটি পরামর্শদাতা সংস্থা ছিল। তদন্তকারীদের দাবি, বেসরকারি বিএড কলেজগুলি থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ওই সংস্থা ২ কোটির বেশি টাকা তোলে। অভিযোগ, এর বিনিময়ে কোনও পরিষেবা দেওয়া হয়নি কলেজগুলিকে। তার পর সেই টাকাও ফেরতও দেওয়া হয়নি। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি।
গত ৭ অগস্ট শতরূপার জামিন মঞ্জুর হয়। আদালত জানিয়েছিল, এক লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন পাবেন শতরূপা। তিনি রাজ্যের বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না। এ ছাড়া, তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে ইডির কাছে। তার পরেই মানিক এবং শতরূপার পুত্র শৌভিকও জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy