রাজীব কুমারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই জেরার প্রস্তুতি। —ফাইল চিত্র।
সারদা তদন্তে ক্রমশই জাল গোটাচ্ছে সিবিআই। সম্প্রতি কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জেরা করে বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তা খতিয়ে দেখে এ বার সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং তাঁর এক সময়ের সহযোগী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেলে গিয়ে জেরা করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সুদীপ্ত এবং দেবযানী জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের জেরা করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই বারাসতে বিধায়ক এবং সাংসদদের জন্য গঠিত বিশেষ আদালতে আবেদন করেছে সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুরও করেছে আদালত। তবে জেলে গিয়ে তাঁদের জেরা করা যাবে কি না, সে বিষয়ে আগামী ১ জুলাই তার শুনানি হবে।
চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে কিছু দিন আগে কলকাতায় এসেছিলেন সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা নাগেশ্বর রাও। সেই সময় তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। সেখানে সারদা তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়ে যান। এর পরেই সিবিআই নতুন করে তৎপর হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: মমতার সরকারের পুলিশই তাঁর প্যারোল আটকেছিল, ফেসবুকে বিস্ফোরক মদন
সারদা-কাণ্ড সামনে আসার পর দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে কাশ্মীরের সোনমার্গে গা ঢাকা দিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। সেই সময় সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে বহু প্রভাবশালী ব্যক্তি ফোনে যোগাযোগ রেখেছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। ওই সময় রাজ্যের তরফে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছিল। সেই দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বিধাননগরের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জেরা করা হয়েছে রাজীব কুমারকে।
কিন্তু কাশ্মীর পালাতে সুদীপ্ত সেনকে কোনও প্রভাবশালী সাহায্য করেছিলেন কি না, এ রাজ্যে তাঁর চিটফান্ড ব্যবসায় কোন কোন প্রভাবশালীর কী কী ভূমিকা ছিল, সেই সংক্রান্ত কিছু তথ্য হাতে এলেও, সুনির্দিষ্ট তথ্য হাতে পেতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সে কারণেই সারদা কর্তা সুদীপ্ত এবং সংস্থার তৎকালীন ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’ দেবযানীকে নতুন করে জেরা করতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: সব রাজ্য কমিটি ভেঙে দিল কংগ্রেস, নতুন সভাপতি নির্বাচনের ইঙ্গিত? ইস্তফায় অবিচল রাহুল
প্রায় ছ’বছর অতিক্রম হয়ে গেলেও সারদার লাল ডায়েরি, পেনড্রাইভ-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখনও সিবিআইয়ের হাতে আসেনি। তার ফলে তদন্ত প্রক্রিয়া অনেকটাই থমকে গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিধাননগরের তৎকালীন গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষ-সহ সেই সময় সারদা তদন্তের দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েক জনকে জেরা করে আট ট্রাঙ্ক ভর্তি নথি হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেগুলি খতিয়ে দেখে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় রাজীব কুমারকে। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তের আরও বিভিন্ন দিক খুলে গিয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy