—ফাইল চিত্র।
কর্তব্যে গাফিলতি খুঁজে পাওয়ায় খাস কলকাতা হাই কোর্ট প্রশাসনকেও ছেড়ে কথা বলেননি তিনি। এজলাসে বসে এবং লিখিত ভাবে আদালত প্রশাসনের সমালোচনা করেছিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। রাজ্যে বাজি বিক্রি ও পোড়ানো সংক্রান্ত মামলার বিচারেও শুক্রবার কড়া ভূমিকা নিলেন তিনি। তাঁর এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে এ বারেও কালীপুজো ও দীপাবলিতে বাংলায় বাজি বিক্রি ও পোড়ানো পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
আইনজীবী শিবির স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, অতিমারি আবহে আদালতে শরীরী উপস্থিতি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয়েছিল। কিন্তু হাই কোর্টে সেই শুনানির পরিকাঠামো ঠিক না-থাকায় শুধু সমালোচনা করেই ক্ষান্ত হননি বিচারপতি ভট্টাচার্য। পরিকাঠামোর গাফিলতিতে বহু সাধারণ মানুষ যে সময়মতো ন্যায্য বিচার পাচ্ছেন না, সেটাও উল্লেখ করেছিলেন। সে-দিন ওই ন্যায়াধীশের মন্তব্যে ঠান্ডা ঘরের বাইরে থাকা বিচারপ্রার্থীদের প্রতি তাঁর সহমর্মিতাই ফুটে উঠেছিল। এ দিনও বিচারপতি ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি রায়ের বেঞ্চের নির্দেশ রাজ্যের সাধারণ মানুষকে বাজির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে বলেই বিভিন্ন মহলের আশা।
হাই কোর্ট সূত্রের খবর, ক্যালকাটা বয়েজ় স্কুলের প্রাক্তনী সব্যসাচীবাবু ১৯৯৫ সালে আইন পাশ করে ওকালতি শুরু করেন। হাই কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট হন। কেন্দ্রের বিশেষ কৌঁসুলি হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। তিনি স্থায়ী বিচারপতি হন ২০১৯ সালে।
এ দিন যে-ডিভিশন বেঞ্চ বাজির উপরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তার অন্যতম সদস্য অনিরুদ্ধবাবু হিন্দু স্কুলের প্রাক্তনী। তিনিও ১৯৯৫ সালে হাই কোর্টে আইনজীবীর পেশা শুরু করেন। কোম্পানি আইন, দেওয়ানি, ব্যাঙ্ক, সাংবিধানিক-সহ আইনের নানা বিষয়ে আইনজীবী হিসেবে দক্ষতার ছাপ রেখেছেন তিনি। হাই কোর্ট ছাড়াও মামলা লড়েছেন সুপ্রিম কোর্ট এবং বিভিন্ন ট্রাইবুনালে। ২০২০-র মে মাসে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy