ঝাড়গ্রামের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট দিয়ে টাকা নিয়ে বেরোচ্ছেন বৃদ্ধ। নিজস্ব চিত্র
কোথাও টাকা নাও, ভোট দাও। কোথাও ভোট দেওয়ার পর টিফিন। কোথাও আবার ভোটের আগে ভোটারদের বাড়িতে চাল পাঠানোর অভিযোগ। সব ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় শাসকদল।
রবিবার সকালে ঝাড়গ্রামের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র থেকে ভোট দিয়ে হাতে টাকা নিয়ে বেরোচ্ছিলেন লোধা-শবর সম্প্রদায়ের এক বৃদ্ধ। বললেন, ‘‘বাবুরা ২০ টাকা দিয়ে ভোট দেওয়ার কথা বলেছিল। এই টাকায় চা-মুড়ি খাব।’’ বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দল টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইছে। বিজেপি প্রার্থী অশোককুমার মহান্তি বলেন, ‘‘ভোটের আগের রাত থেকে এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়েছে। এ দিন আবার টাকা দিয়ে ভোট কিনছে। কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি।’’ তবে অভিযোগ উড়িয়ে ওই ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থী আর্য ঘোষের দাবি, ‘‘পুরোটাই ভিত্তিহীন অভিযোগ।’’ যদিও এ দিন টোটোয় করে ভোটারদের বুথে আনার পরে হাতে টাকা গুঁজে দিতে দেখা গিয়েছে। টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ উঠেছে ১৬ নম্বরের নির্দল প্রার্থী তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নবু গোয়ালার বিরুদ্ধেও। নবুরও দাবি, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’
৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট দেওয়ার পরে টিফিন দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বামেরা। ৫ নম্বরে কিছু ভোটারকে চাল দিয়ে ভোট দিতে নিয়ে আসার অভিযোগ তুলেছেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী রাজ মহম্মদ। যদিও ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী প্রবীর পাল বলেন, ‘‘চাঁদাবিলার কিছু বাসিন্দা আধার লিঙ্কের সমস্যায় রেশনে চাল পাচ্ছেন না। তাঁরা যাতে চাল পান, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি প্রসূন ষড়ঙ্গীর দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা কাজ করছেন তারপর টাকা দিয়ে ভোট কেনার দরকার নেই।’’
ভোটের বাজারে রবিবার আবার ঘাটালে উধাও ছিল মুরগি। প্রকাশ্যেই ভোটারদের মাংস-ভাত খাওয়াতে তৎপর ছিল রাজনৈতিক দলগুলি। কোথাও ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের দু’শো মিটার দূরে, কোথাও আবার দলীয় কার্যালয়ে দিনভর চলল খাওয়া দাওয়া। বুথে বুথে, পাড়ায় পাড়ায় এক ছবি।ঘাটাল শহরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেই ১৭টি ওয়ার্ডে কম-বেশি ৪০ জায়গায় রান্নাবান্না হয়। ঘাটালের কুশপাতায় তৃণমূল কার্যালয়ে এ দিন এক কুইন্টাল মাংস রান্না হয়েছিল। প্রায় চারশো লোক খেয়েছে। বিজেপি ও সিপিএমের পক্ষ থেকেও খাওয়াদাওয়ার আয়োজন ছিল। ঘাটালের তৃণমূল নেতা অনুপ চক্রবর্তী বলছেন, “দলের কর্মীদের জন্য রান্না হয়েছিল। পরিচিতরাও অনেকে এসেছিলেন।” বিজেপি প্রার্থী সৌমেন নাগার কথায়, “কর্মীদের খাওয়ানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy