ভাইফোঁটা থেকে দু’-তিন দিন গাঙ্গেয় বঙ্গের একাংশে বৃষ্টির আশঙ্কাও আছে। —ফাইল চিত্র।
হেমন্তের আমেজ থাকলেও কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে কালীপুজো ও দীপাবলির রাতে হিমেল ভাব তেমন জোরালো ভাবে মিলবে না বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। তবে পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা কম থাকায় রাতে বা ভোরে কার্তিকের হিম মিলতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছেপিঠে ছিল। আজ, রবিবার রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে আগামিকাল, সোমবার পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তবে ভাইফোঁটা থেকে দু-তিন দিন গাঙ্গেয় বঙ্গের একাংশে বৃষ্টির আশঙ্কাও আছে।
এ বছর কালীপুজো পড়েছে কার্তিক মাসের শেষে। বর্ষা বিদায়ের পরে আকাশ মেঘমুক্ত হওয়ায় উত্তুরে হাওয়া ঢুকে পড়ায় রাতের দিকে পারদ পতন হচ্ছিল। বিশেষত গত কয়েক দিন গভীর রাতে বা ভোরে গায়ে হালকা চাদর চাপা দিচ্ছিলেন অনেকে। ডুয়ার্সের জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬-১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মতো পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬-১৮ ডিগ্রির কাছেপিঠে ঘুরছে। কার্তিকের পারদ দেখে জল্পনা শুরু হয়েছিল যে, শীত কি একটু আগেভাগেই দক্ষিণবঙ্গে হাজির হবে? যদিও আবহবিদেরা জানান, হেমন্তে হিমেল ভাব মিললেও শীত পড়তে এখনও ঢের দেরি।
কার্তিকে উত্তুরে হাওয়া ঢুকলেও আচমকা বৃষ্টি কেন হাজির হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। আবহবিদদের একাংশ জানান, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে। তার প্রভাবেই বৃষ্টি হতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর থেকে জোলো বাতাস ঢুকে উত্তুরে হাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করবে। তার ফলেই হিমেল ভাবও উধাও হবে। তবে সেই বৃষ্টির উপদ্রব কেটে গেলে ফের উত্তুরে হাওয়া ঢুকে হিমেল ভাব ফিরিয়ে দিতে পারে বলেও মনে করছেন আবহবিজ্ঞানীদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy