ফাইল চিত্র।
পদ ছিল কনস্টেবলের। কাজ করতে হত সাব ইনস্পেক্টরের। সেই কারণে পুনরায় বেতন কাঠামো বদল ও সংশোধিত পেনশনের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করলেন সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) অবসরপ্রাপ্ত কয়েক জন জওয়ান।
সুজিত গোলদার-সহ এমনই ১২ জন অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবলের আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় শুক্রবার জানান, তাঁর মক্কেলদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁরা সীমান্ত পাহারা দিয়েছেন। কেউ ২০ বছর, কেউ ২৫ বছর কাজ করার পরে স্বেচ্ছাবসর নেন। মামলার আবেদনে তাঁরা জানান, কেন্দ্রের ষষ্ঠ বেতন কমিশন ‘মডিফায়েড অ্যাসুওরড ক্যারিয়ার প্রগ্রেশন স্কিম’ (এমএসিপি) সুপারিশ করেছে। সেই সুপারিশ মেনেও নিয়েছে কেন্দ্র। এমএসিপি-তে বলা রয়েছে, কেন্দ্রের কোনও কর্মী কোন পদে একটানা ১২ বছর কাজ করলে বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন। কর্মজীবনে দু’বার সেই সুযোগ পাবেন তাঁরা। গত মে মাসে কেন্দ্র সেই কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে।
আইনজীবী সুব্রতবাবু জানান, এমএসিপি-র সুযোগ পাওয়ার জন্য ওই কনস্টেবলরা বিএসএফ-এর ডিজি, কেন্দ্র, বাহিনীর কমান্ডান্ট-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আবেদন জানান। আবেদনে এ-ও বলা হয়, তাঁরা কনস্টেবল পদে থাকলেও, তাঁদের সাব ইনস্পেক্টরের কাজ করতে হত। তাই যে সময় তাঁরা কাজ করতেন, সেই সময় সাব ইনস্পেক্টরদের যে বেতনক্রম ছিল, সেই বেতনক্রম তাঁদের দেওয়া হোক। সেই বেতনক্রমের ভিত্তিতে বর্ধিত হারে পেনশনও দেওয়া হোক।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাঁরা এ-ও জানান, এমএসিপি-তে বলা রয়েছে, ২০০৮-এর ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওই প্রকল্প কার্যকর হবে। সেই সময় তাঁরা কর্মরত ছিলেন, তার পরেও বেশ কয়েক বছর তাঁরা কাজ করেছেন। তাই এমএসিপি-র সুবিধা তাঁদের দেওয়া হোক। তাঁরা যে কনস্টেবল পদে থেকেও সাব ইনস্পেক্টরের কাজ করেছেন, তার নথি হাইকোর্টে দায়ের করা মামলার আবেদনে যুক্ত করা হয়েছে বলে আইনজীবী জানান। তিনি এ-ও জানান, কেন্দ্রের কোনও কর্মী স্বেচ্ছাবসর নিলেও তিনি যে এমএসিপি-র সুবিধা পাওয়ার যোগ্য তা সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট রায় দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy