গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। নিজস্ব চিত্র।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে বুধবার বনগাঁয় ঘুরে গেলেন ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার অরবিন্দ গুপ্ত, ও সিনিয়র সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার বিজয় কুমার-সহ কেন্দ্রের একটি প্রতিনিধি দল। এ দিন গাইঘাটা থানা এলাকার আংরাইল সীমান্ত-সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে হাতে পেয়ে দ্রুত কাঁটাতার বসানোর দাবি জানান গ্রামবাসীরা।
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ তাঁরা হেলিকপ্টার করে বনগাঁ স্টেডিয়ামে নামেন। এই পরিদর্শন উপলক্ষে গোটা এলাকা নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলেছিলেন বিএসএফ জওয়ানেরা। বিশাল গাড়ির কনভয় নিয়ে পিরোজপুর, কালিয়ানি, ঘোনার মাঠ, খেদাপাড়া সীমান্ত দেখতে দেখতে ওই প্রতিনিধি দলটি আংরাইলে পৌঁছায়। সেখানে ইছামতীর পাড়ে গিয়ে সীমান্ত পরিদর্শন করেন তাঁরা। নদীর অন্য পাড়ে বাংলাদেশের পুটখালি এলাকা। বিএসএফের কর্তারা তাঁদের এলাকার মানচিত্র বোঝান। কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এক বিএসএফ কর্তা দোভাষীর কাজ করছিলেন। ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের কাছে স্থানীয় ব্যক্তিরা গরু পাচার বন্ধ, ইছামতীর পাড় বরাবর কাঁটাতার দেওয়ার দাবি করেন। এক মহিলা বলেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে পাচারকারী ও দুষ্কৃতী এসে এ দেশ থেকে গরু নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করলে খুনের ঘটনাও ঘটেছে।’’ এই অভিযোগ শুনে ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার অরবিন্দ গুপ্ত বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায়ের কাছে পাচার বন্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানতে চান। অনিলবাবু বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু গরু পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গরুও আটক করা হচ্ছে।’’
এর পর প্রতিনিধি দলটি পেট্রাপোলের বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করে। ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy