—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সিবিআইয়ের অনুমতি দেরিতে মেলার জন্য আর জি করে সংস্কার ও পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হয়নি। তবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তা শেষ হবে বলে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই মতো পূর্ত দফতর তড়িঘড়ি সমস্ত কাজ শুরু করছে বলে, বুধবার জানালেন ওই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে, নতুন করে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ৫৩২টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে আর ১০-১৫টি মতো বাকি রয়েছে।
সূত্রের খবর, জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মতো, আর জি করের প্রতিটি বিল্ডিংয়েই কোথায় কী ধরনের সংস্কারের প্রয়োজন, তা আগেই স্থির করা হয়েছিল। সেই মতো পূর্ত দফতরের টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ হয়েছে। কাজের জন্য ‘ওয়ার্ক-অর্ডার’-ও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ছাড়পত্র ছাড়া কোনও রকমের কাজ শুরু করা যাবে না। দু’তিন বার সেই বিষয়ে সিবিআইয়ের কাছে অনুমতি চান আর জি কর কর্তৃপক্ষ। এর পরে গত ৯ অক্টোবর সিবিআইয়ের তরফে কাজ শুরুর অনুমতি মেলে।
জানা যাচ্ছে, স্ত্রী রোগ বিল্ডিং, শল্য বিল্ডিং, ট্রমা কেয়ার-সহ একাধিক জায়গায় পরিকল্পনা মতো কাজ করবে পূর্ত দফতর। তবে ক্যাজুয়ালটি বিল্ডিং বা জরুরি বিভাগ বিল্ডিংয়ের চার তলায় বক্ষ রোগ বিভাগের নির্দিষ্ট কিছু অংশ বাদ রেখে সংস্কারের কাজের ছাড়পত্র দিয়েছে সিবিআই। আবার, ওই বিল্ডিংয়ের একতলায় জরুরি বিভাগে গত ১৪ অগস্ট রাতে যে ভাঙচুর হয়েছিল, সেখানে সংস্কারের বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ছাড়পত্র নিতে বলেছিল সিবিআই। আর জি কর সেই ছাড়পত্র পেয়েছে কলকাতা পুলিশের থেকে। মঙ্গলবার পূর্ত দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তারা হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গা (যেখানে কাজ হবে) পরিদর্শন করেছেন। পরিকল্পনা মোতাবেক অন-ডিউটি রুম, বিশ্রামকক্ষ, শৌচাগার-সহ বিভিন্ন সংস্কারের কাজ ও পরিকাঠামো তৈরির কাজ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy