প্রিয়দর্শিনী এখনও কোনও নোটিস পাননি বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। —ফাইল চিত্র।
কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি তাঁর মেয়েতে। মিথ্যে প্রচার করলে মানহানির মামলা করবেন। হুঁশিয়ারি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ফিরহাদ হাকিমের। কয়লা কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই) নোটিস ধরানোর পর থেকেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তার মধ্যেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনে অসঙ্গতি এবং বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে ফিরহাদের বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনীকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) নোটিস ধরানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সোমবার সকাল পর্যন্ত তেমন কোনও নোটিস তাঁদের হাতে এসে পৌঁছয়নি বলে জানিয়েছেন কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ।
প্রিয়দর্শিনীকে নোটিস ধরানোর বিষয়টি ইডি সূত্রেই সামনে এসেছে। তা নিয়ে সংবাদাধ্যমে খবর প্রকাশিত হতেই নোটিস পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন ফিরহাদ।
এ দিন নেটমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন প্রিয়দর্শিনী নিজেও। তাঁকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরটের তলব করেছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, একেবারে মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। প্রিয়দর্শিনী লেখেন, ‘আমার বাবা রাজনীতিক। তাঁকে বদনাম করতেই এই ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে এবং তাঁকে হেনস্থা করতে আমাকেও টেনে আনা হচ্ছে। কারণ ছেলেমেয়েই বাবা-মায়ের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। বিরোধীদের হেনস্থা করতে আমাদের দেশের সরকার বিভইন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে’।’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে নোটিস ধরানোর পিছনে বিজেপি-র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল। তাহলে কি প্রিয়দর্শিনীও রাজনীতির শিকার হচ্ছেন? উত্তরে ফিরহাদ বলেন, ‘‘সোমবার সকাল পর্যন্ত কোনও নোটিস পাইনি আমরা। বিজেপি-র মাথায় অনেক কিছু ঘুরছে। চাইলে মামলা করতেই পারে ওরা। সে ক্ষেত্রে আদালত রয়েছে। সেখানেই বুঝে নেব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও নোটিসই পাইনি। যারা এই ধরনের মিথ্যে প্রচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।’’
তিনি রাজনীতিতে যুক্ত বলেই খামোকা তাঁর মেয়েকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ফিরহাদ। তাঁর কথায়, ‘‘বাবা রাজনীতি করে। বিজেপি-র সামনে মাথা নত করে না। বরং সত্যি কথা বলার সাহস রাখে। সেটাই কি ওর দোষ? নইলে শুধু শুধু ওর নাম টেনে আনা হচ্ছে কেন?’’ মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার ঘিরে ‘দুর্নীতি’র যে অভিযোগ রয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে প্রিয়দর্শিনীকে নোটিস পাঠানোর কোনও যোগ রয়েছে কি না জানতে চাইলে ফিরহাদ বলেন, ‘‘ও যে চাকরি করে, তার সঙ্গে মেট্রো ডেয়ারির কোনও সম্পর্কই নেই। শুধু শুধু তাতে ওকে জড়ানো হবে কেন?’’ মিথ্যে প্রচার করে তাঁদের চরিত্রহননের চেষ্টা চলছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এ দিকে, সোমবার সকালে অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের বাড়িতেও হাজির হয় সিবিআইয়ের একটি দল। কয়লা কাণ্ডে মঙ্গলবার সিবিআইকে দেখা করার সময় দিয়েছেন রুজিরা। মেনকার সঙ্গে তাঁকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু ভোটের আগে গোয়েন্দা সংস্থার এমন তৎপরতার পিছনে বিজেপি-র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য জড়িয়ে রয়েছে বলে দাবি করেন ফিরহাদ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই করার ক্ষমতা নেই বিজেপি-র। তাই পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে। পেরে উঠবে না জেনেই কাপুরুষের দল এখন মা-বোনেদের নিশানা করছে। ২০১৬-তেও মিথ্যে মামলা এনে হেনস্থা করেছিল। সেগুলো ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। এখন আবার নতুন অভিযোগ এনে হেনস্থা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy