টিভির পর্দায় নজর রেখেছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরসভা নির্বাচন আগামী বছরেই। তার আগে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিলেন। দিল্লিতে যখন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে শোভন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তখন পর্ণশ্রীর বাড়িতে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন রত্না চট্টোপধ্যায়। মন দিয়ে দেখছিলেন শোভনের যোগদান পর্ব এবং সংক্ষিপ্ত ভাষণ। টিভি দেখতে দেখতেই হাসছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। যত ক্ষণ শোভন-বৈশাখীর যোগদান পর্ব চলেছে, তত ক্ষণই হাসতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
টিভির পর্ব শেষ হতেই শোভনের দলছাড়া নিয়ে মুখ খুললেন রত্না। কেন শোভন চট্টোপাধ্যায় দল দল ছাড়লেন? জবাবে প্রাক্তন মেয়রের স্ত্রী বলেন, ‘‘একদম ছোট বয়স থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছিলেন। মমতার হাত ধরেই কাউন্সিলর থেকে বিধায়ক হয়েছেন। মমতাদি ওঁকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। ফিরে আসতে বলেছিলেন। কিন্তু উনি আসেননি। উনি যে অনৈতিক কাজ করছিলেন, তা মমতাদি মেনে নিতে পারেননি। তাই হয়তো শোভনবাবু বিজেপিতে চলে গিয়েছেন।’’
গত লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ৫০টি আসনে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। শোভন চট্টোপাধ্যায় পুরসভার কাউন্সিলর থেকে শুরু করে বিধায়ক, মন্ত্রী, এমনকি পুরসভার মেয়রের দায়িত্ব সফল ভাবে সামলেছেন। তিনি যে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পর্ণশ্রীর সেই ওয়ার্ড থেকে এ বার তৃণমূলের তরফে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের দাঁড়ানোর সম্ভাবনা। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে চলে যাওয়া স্থানীয় নেতারাও চাইছেন, ওই ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে ফের কলকাতা পুরসভার মেয়র হোন শোভন। এ প্রসঙ্গে রত্নাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা ঘুমিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি। সব কি বাস্তব হয়? শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে যদি বিজেপি স্বপ্ন দেখে, দেখুক। তা সফল হবে না। চ্যালেঞ্জ করছি শোভন-বৈশাখী জুটি পুরসভা দখল করতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট হয়। আগামী দিনে শোভন মেয়র হবেন না! এ সব হাস্যকর বিষয়।”
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিয়েই তৃণমূলকে আক্রমণ, পঞ্চায়েতের সময়েই ‘ভোট লুঠের’ প্রতিবাদ করেছিলাম, বললেন শোভন
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও এ দিন ক্ষোভ উগরে দেন রত্না। তাঁর কথায়, “ওয়েবকুপায় সম্পাদকের পদে থাকা মানে যদি নেত্রী হয়ে যায়, তা হলে অনেক নেত্রী রয়েছে আমাদের। বিজেপিতে যাওয়ার পর বৈশাখীকে দেখে যদি মানসিক শক্তি পান শোভনবাবু তা হলে তো ভালই।” একই সঙ্গে তিনি বৈশাখীকে কটাক্ষ করে বলেন, “উনি অনেকেরই ঘর ভেঙেছেন। আমারও ঘর ভেঙেছেন। কোনও বন্ধু কি ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টা একসঙ্গে থাকতে পারে? শোভনের গলায় নৈতিকতার কথা মানায় না।”
আরও পড়ুন: ছত্রধর-সহ চার মাওবাদীর যাবজ্জীবন খারিজ, বেকসুর ছাড়া পেলেন প্রসূন-রাজা
তবে নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে এ দিন অভিনেত্রী তথা রায়দিঘির বিধায়ক দেবশ্রী রায়কে দেখে কিছুটা অবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রত্না। তাঁর কথায়: “দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে আমার মাঝেমধ্যেই কথা হয়। কিন্তু দেবশ্রীদি বিজেপিতে যোগ দেবেন এটা ভাবতে পারিনি। একই দিনে দু’জনে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কাকতালীয় নয়। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দেখে কেউ দেবশ্রীকে ভোট দেননি। তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে রায়দিঘিতে জিতেছেন তিনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy