ব্লক অফিসে রাণু। —নিজস্ব চিত্র।
সরকারি পরিচয়পত্র বলতে কিছুই নেই। আর সেটা না থাকায় রাণু মারিয়া মণ্ডলের জন্য কিছু করাও সম্ভব হচ্ছিল না। গত কয়েক দিন থেকেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তার মধ্যে ছিলেন সকলে। আপাতত রাণুর বিবাহ শংসাপত্রের উপর ভরসা করেই এগোতে চাইছে প্রশাসন। প্রথমে রাণুর একটি পরিচয়পত্র তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছে। পরিচয়পত্র তৈরি হয়ে গেলেই রাণুর সরকারি ভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, তাঁকে মাসে সাড়ে সাতশো টাকা ভাতা দেওয়া কথাও ভাবা হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৭৮ সালে বেগোপাড়া চার্চে বাবলু মণ্ডলের সঙ্গে রাণু মারিয়া মণ্ডলের বিয়ে হয়। সেই সময়ে রাণুর বয়স ছিল ১৯ বছর। এই মর্মে একটি বিবাহ শংসাপত্র পাওয়া গিয়েছে। আপাত ভাবে সেটিই এখন রাণুর আগামি দিনের মসৃণ পথ চলার এক মাত্র ভরসা। রানাঘাট ২ নম্বরের বিডিও খোকন বর্মন বলেন, “ওই ম্যারেজ সার্টিফিকেট দিয়ে কী ভাবে পরিচয়পত্র তৈরি করা হবে, সেটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। নাগরিক হিসাবে রাণুর প্রাপ্য যাবতীয় সরকারি সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে। সমাজকল্যাণ দফতর থেকে তাঁকে সাড়ে সাতশো টাকা ভাতা দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।”
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে নোকারিতে অবস্থিত রানাঘাট ২ নম্বর ব্লক প্রশাসনের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন রাণু মারিয়া মণ্ডল। সেখানে তিনি বিডিও সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে গানও শুনিয়েছেন। প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে কাটিয়ে ফিরে এসেছেন। রাণুর প্রতিবেশী তপন দাস বলেন, “এ দিন রাণুদির পরিচয়পত্র, ঘর-সহ বিভিন্ন সুযোগসুবিধা পাওয়ার বিষয়ে বিডিও সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের সব কথা খুব গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন।” তপন আরও জানিয়েছেন, কৃষ্ণনগরে রাণুর জন্ম হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁর জন্ম শংসাপত্র বের করা যায় কি না, সে চেষ্টাও করা হবে। রাণুকে গান গাইতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রাজ্য থেকে আমন্ত্রণ আসছে। বর্তমানে তাঁর কোনও বৈধ পরিচয়পত্র না থাকার কারণে কোথায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মেয়ে সাথী আপাতত মায়ের সঙ্গেই রয়েছেন। তবে মঙ্গলবারই তিনি সিউড়ি ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy