Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Threat letter to JU registrar

রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি: ধৃত ‘অধ্যাপক’ রানা রায় ‘মেডিক্যাল লিভ’ নিয়ে কলেজ যাননি চার মাস

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি পাঠানোর ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল রানা রায়ের। সেই রানা গ্রেফতার হওয়ার পর জানা গেল, তিনি কোচবিহারের এবিএন সিল কলেজের শিক্ষক।

রানা রায়।

রানা রায়। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:২৫
Share: Save:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি পাঠানোর ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল রানা রায়ের। রবিবার সেই রানা গ্রেফতার হওয়ার পর জানা গেল, তিনি কোচবিহারের এবিএন সিল কলেজের অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপক। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক তিনি। সেই কলেজ সূত্রেই খবর, রানা গত চার মাস ধরে কলেজ যাননি। শেষ বার গত এপ্রিল মাসে কলেজে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে ‘মেডিক্যাল লিভে’ রয়েছেন।

রবিবার রাতে ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে রানাকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি দেওয়ার ঘটনায় শনিবারই মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। যাদবপুর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬, ৫০৯ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল রানার বিরুদ্ধে। চিঠিতে নিজের পরিচয়ে ‘অধ্যাপক’ লিখেছিলেন রানা। তার দু’দিনের মাথাতেই গ্রেফতার করা হল তাঁকে। যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে মামলায় রানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার সঙ্গে যাদবপুরের ঘটনার কোনও যোগ নেই। বেলগাছিয়ার এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন রানা।

এবিএন সিল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, রানার বাড়ি বেলগাছিয়ায় হলেও তিনি কর্মসূত্রে কোচবিহারেই থাকতেন। কিন্তু গত চার মাস ধরে তাঁর দেখা নেই। রানা গ্রেফতার হওয়ার পরেই এবিএন সিল কলেজের অধ্যক্ষ নিলয় রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি নিয়ে নিজেই স্তম্ভিত। উনি কী কারণে এই ঘটনা ঘটালেন, তা আমি জানি না। তবে ওঁর এই কাজের জন্য কলেজের নাম খারাপ হল। উনি এপ্রিল মাস থেকে মেডিক্যাল লিভে রয়েছেন।’’

পুলিশ সূত্রে সূত্রে, রানার বিরুদ্ধে এর আগে ২০১৯ সালে শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। কিন্তু তখন রানাকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁকে পলাতক বলে জানানো হয়েছিল আদালতে। পরে গত ফেব্রুয়ারি মাসে শিয়ালদহের ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার করা হয় এবং শেষে আদালতের নির্দেশে আবার জামিনও পেয়ে যান রানা। শুধু তা-ই নয়, নিজেকে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ অফিসার হিসাবে পরিচয় দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে রানার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও এলাকার ব্যবসায়ী এবং দরিদ্র বিক্রেতাদের কাছ থেকে রানা অনেক টাকা ধারও করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। রানার বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং পরিচয় জালিয়াতির অভিযোগ তুলে দাবি, সব মিলিয়ে এলাকার মানুষজনের কাছ থেকে ৬২ হাজার টাকার ধার করেছিলেন রানা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jadavpur University
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE