অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল রাজ্য বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এই রাজ্য ধীরে ধীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে।’’ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
সোমবার রামপুরহাটে একটি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুনের ঘটনা ঘটে। তার পর গোটা রাত ধরে এলাকায় তাণ্ডব চলে। আগুন লাগানো হয় একের পর এক বাড়িতে। দমকলের দাবি, সোমবার তিন জন এবং মঙ্গলবার সকালে একটি বাড়ি থেকে সাত জনের ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু তাতে খুশি নয় বিরোধীরা। ঘটনার দায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি। সুকান্ত বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে অরাজকতার শাসন চলছে। মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পুলিশমন্ত্রীও বটে, বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। ১০ জনকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হল। আর কথায় কথায় গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ দেখায় তৃণমূল! এই ব্যর্থতা মুখ্যমন্ত্রীর। আমার বার বার মনে হচ্ছে, এই রাজ্য ধীরে ধীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে।’’
রাজ্যের ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তাঁর দফতর ও রাজ্যপালকে ট্যাগ করে করা টুইটে তাঁর অভিযোগ, মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর প্রয়াস ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর।
Law & order in a rapid freefall in WB.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) March 22, 2022
Tension & terror has gripped Rampurhat area of Birbhum district, after a panchayat upoprodhan (deputy chief); Bhadu Sheik was reportedly killed last evening in a bomb attack.
Angry mob ransacked and set afire several houses afterwards.
তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য আগুন লেগে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ মানতে চাননি। তিনি টুইট করে ঘটনাটিকে স্থানীয় গ্রাম্য বিবাদ বলে দাবি করেছেন।