ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাইকোর্ট থেকে গোয়েন্দা-প্রধান রাজীব কুমার আগাম জামিন নিয়েছেন মাস দুয়েক আগে। আর আগাম জামিন নেওয়ায় আইনের বেড়াজালে তিনি সারদা মামলায় নিম্ন আদালতে পরোক্ষ ভাবে ‘অভিযুক্ত’ হয়েই গিয়েছেন বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। রাজীবের আইনজীবী গোপাল হালদার জানান, কোনও ব্যক্তি আগাম জামিন নেওয়া মানেই তিনি পরোক্ষে অভিযুক্ত।
সারদার তছরুপ মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল্লা মুনশি ও বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ ১ অক্টোবর রাজীবকে আগাম জামিন দেয়। পরে আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালত থেকে রাজীব আগাম জামিন নেন ৩ অক্টোবর। সারদা-কাণ্ডে পুলিশের বিশেষ তদন্ত দল বা সিটের অন্যতম কর্তা রাজীব তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছেন বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আগাম জামিনের বাতিলের আর্জি জানিয়েছে তারা। শুক্রবার তার শুনানি হবে।
সারদা-কাণ্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তীর বক্তব্য, আমানতকারীদের টাকা তছরুপ করা অপরাধ। তছরুপের প্রমাণ লোপাট করাও অপরাধ। সিবিআই সর্বোচ্চ আদালতে একাধিক বার জানিয়েছে, রাজীব যে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছেন, তার প্রমাণ আছে।
আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, কোনও ব্যক্তি তখনই আগাম জামিনের আবেদন করেন, যখন তিনি অভিযুক্ত হন বা অভিযুক্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করেন। সাক্ষীর নোটিস দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই আগাম জামিনের আর্জি জানান রাজীব। তাঁর আশঙ্কা, যে-কোনও সময়েই তাঁকে অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করতে পারে সিবিআই।
সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামীর মতে, সিবিআই চার্জশিটে রাজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ না-আনলে তিনি অভিযুক্ত হবেন না। এ ক্ষেত্রে সব কিছুই নির্ভর করছে তদন্তকারী সংস্থার উপরে।
আলিপুর আদালতের খবর, ২০ নভেম্বর জামিনপ্রাপ্ত অভিযুক্তদের হাজিরা ছিল অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের এজলাসে। নির্দেশ পেয়ে হাজির হন রাজীবও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy