ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই বঙ্গ থেকে প্রায় বিদায় নিয়েছে শীত। সেই আবহেই বুধবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। রাজ্যের কোনও কোনও জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও।
মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৮ ডিগ্রি। সেই তুলনায় বুধবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় হেরফের হয়নি। বুধবার ভোরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৭ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। বুধেও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ থেকে ৩১ ডিগ্রির আশপাশে।
আরও পড়ুন:
বুধবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। বুধবার বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ায়। বুধবারের জন্য এই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম এবং নদিয়ায়। শুক্রবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে শুক্রবারও পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। শনি ও রবিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে সোমবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর।
হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতেও। বুধবার দার্জিলিং ও কালিম্পঙে বৃষ্টি হতে পারে। দার্জিলিঙে হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার-সহ একে একে উত্তরের বাকি জেলাগুলিতেও হালকা বৃষ্টি শুরু হবে। শনি ও রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে।
টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও আগামী পাঁচ দিনে রাজ্যের কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আলিপুর জানিয়েছে, উত্তর ও পূর্ব ভারতে রাজস্থান এবং অসমে রয়েছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে পূর্ব ভারতের দিকে এগোচ্ছে নতুন একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। এ সবের কারণেই বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বঙ্গে। তবে এই সময়ে রাজ্য জুড়ে বৃষ্টিতে রবি শস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে আলু চাষে।