কৃষ্ণপুরে ট্রেনে আগুন। —ফাইল চিত্র
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভে রেলের ক্ষতি হয়েছে একশো কোটি টাকার বেশি, বছরের শেষ দিনে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। যদিও এর আগে ভারতীয় রেলের তরফে বলা হয়েছিল, পূর্ব রেলের ক্ষতির পরিমাণ ৮০ কোটি টাকা।
সিএএ বিরোধী আন্দোলনে যেমন অসমে রেলের সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনই পশ্চিমবঙ্গে মালদহে দু’টি স্টেশনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ হয় বলেও দাবি রেলের। মঙ্গলবার ২০১৯ সালের শেষ দিনে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে জানানো হয়, নয়া আইনের প্রতিবাদে ৯ ডিসেম্বর থেকেই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের বিভিন্ন এলাকায় রেলের সম্পত্তির উপর আঁচ আসতে শুরু করে। সেই ক্ষতি এখনও পুরোপুরি মেরামত করে উঠতে পারেনি রেল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষতির হিসেব করা হয়েছে। মেরামতির কাজ এখনও চলছে। স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক দিন লাগবে।’’
তবে এর মধ্যেই স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালে না হলেও পুরনো ম্যানুয়াল সিগন্যালেও কিছু জায়গায় ট্রেন পরিষেবা অব্যাহত রাখার চেষ্টা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রেলকর্তারা। রেলের সম্পত্তি ভাঙচুর, গুরুত্বপূর্ণ বৈদ্যুতিন সামগ্রীতে আগুন মিলিয়ে কাটিহার, লামডিং এবং রঙ্গিয়া ডিভিশনেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে হিসেব করেছেন তাঁরা। যাত্রী এবং মালগাড়ি না চলার ফলেও যাত্রী ভাড়া এবং পণ্য মাসুলে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে দাবি রেলের।
কেবল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নিজস্ব এলাকাতেই নয়, অন্যান্য জ়োন থেকেও বেশ কিছু ট্রেন দিনের পর দিন বাতিল করতে হয়েছে। রেল সূত্রে দাবি, সম্পত্তি ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকা, যাত্রী ট্রেন
বন্ধে ক্ষতি প্রায় ৩০ কোটি টাকা, মালগাড়ি বন্ধে ক্ষতি প্রায় ৬০ কোটি টাকা, পার্সেল বুকিং বাতিল বাবদ ক্ষতি প্রায় ৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ তাই ১০০ কোটির বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy